ফাইল চিত্র
শহরের বিমানবন্দরে দু’দিন ধরে মহড়া দিয়ে গেল ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, জরুরি কোনও পরিস্থিতি দেখা দিলে যাতে কলকাতা বিমানবন্দরকে নিয়মিত ব্যবহার করা যায়, তার জন্যই এই মহড়া।
যদিও বায়ুসেনা সূত্রের খবর, এই মহড়ার কোনও বিশেষ কারণ নেই। বায়ুসেনার পাইলটদের প্রশিক্ষণের অঙ্গ হিসেবেই বিভিন্ন অসামরিক বিমানবন্দরে উড়ান ও অবতরণের মহড়া দেওয়া হয়। কারণ, আপৎকালীন পরিস্থিতি বা বিশেষ অবস্থায় এই বিমানবন্দরে যুদ্ধবিমান নিয়ে ওঠানামা করতেই হয়। তাই পূর্বাঞ্চলের ছ’টি বিমানবন্দরে হক যুদ্ধবিমান (কলাইকুন্ডা ঘাঁটিতে থাকা এই বিমান দিয়ে মূলত প্রশিক্ষণ হয়) দিয়ে এই মহড়া হচ্ছে।
সূত্রের খবর, কলকাতা ছাড়া অন্ডাল ও উত্তর-পূর্ব ভারতের পাসিঘাট, তেজু, গুয়াহাটি-সহ ছ’টি বিমানবন্দরেও এই প্রশিক্ষণ হয়েছে। সূত্রের দাবি, বর্তমানে চিন সীমান্তে উত্তেজনা রয়েছে। সে বিষয়টি মাথায় রাখলে এই ধরনের মহড়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বৃহস্পতি ও শুক্রবার — এই দু’দিন কলাইকুন্ডা থেকে দু’টি হক বিমান এসে কয়েক বার কলকাতা থেকে উড়ে যায়। সূত্রের খবর, প্রতিবারেই কলাইকুন্ডার মাথার উপরে গিয়ে খানিকটা মহড়া দিয়ে ফিরে এসেছে বিমান দু’টি। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধের পরিস্থিতি দেখা দিলে কলকাতা বিমানবন্দর নিয়মিত ব্যবহার করবে বায়ুসেনা। সে ক্ষেত্রে বিমানবন্দরের রানওয়ে, ট্যাক্সিওয়ে, রানওয়ে ছেড়ে আকাশে উঠলে কী ধরনের বাধা দেখা দিতে পারে, তা খতিয়ে দেখতে চায় বায়ুসেনা।
সাধারণত, একটি বিমান রানওয়েতে থাকলে দ্বিতীয় বিমান সেখানে নামতে পারে না। যাত্রী বিমান পরিবহণের ক্ষেত্রে বলা হয়, রানওয়ে একেবারে পরিষ্কার না থাকলে কোনও বিমানকে সেখান থেকে ওড়ার বা নেমে আসার অনুমতি দেওয়া হয় না। কিন্তু, বায়ুসেনার ক্ষেত্রে সেই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বৃহস্পতি ও শুক্রবার ওড়ার সময়ে একসঙ্গে দু’টি বিমানই রানওয়েতে ঢুকে আসছিল। একটি বিমান দৌড় শুরু করার ২০ সেকেন্ড পরে তার পিছু ধাওয়া করার মতো করে দ্বিতীয় বিমান দৌড় শুরু করেছে। আকাশে প্রায় ১১ হাজার ফুট উপরে খানিকটা উড়ে এবং মহড়া সেরে নামার সময়েও একই ভাবে একটি বিমান মাটি ছোঁয়ার ২০ সেকেন্ড পরে দ্বিতীয় বিমান নীচে নেমে এসেছে। তখনও প্রথম বিমানটি রানওয়ে থেকে বেরিয়ে যায়নি।