প্রতীকী ছবি।
করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাসের দৌলতে বাড়িই এখন হয়ে উঠেছে স্কুল। কিন্তু সেই স্কুলে নেই বন্ধুদের সঙ্গে গল্প-আড্ডা বা টিফিন ভাগ করে খাওয়ার মজা। নিত্যদিনের এ সব টুকরো আনন্দ থেকে বঞ্চিত শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। তাই দু’পক্ষেরই মন ভাল রাখার উপায় খুঁজে পেতে মাঝেমধ্যেই হচ্ছে ওয়েবিনার বা অনলাইন আলোচনা।
সম্প্রতি এক ওয়েবিনারে নিজেদের ভাবনাচিন্তা তুলে ধরলেন শহরের বেশ কয়েকটি স্কুলের প্রতিনিধিরা। তাঁরা জানালেন, পড়ুয়া ও শিক্ষক, সকলকেই ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে চলতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি ‘কো-কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি’ও গুরুত্ব পেয়েছে এই আলোচনায়।
সাউথ পয়েন্ট স্কুলের অধ্যক্ষা দলবীর কৌর চাড্ডার মতে, আগে পড়ুয়ারা স্কুলকেও বাড়ি বলে মনে করত। এখন বাড়িই স্কুল হয়ে গিয়েছে। আচমকা এই পরিবর্তন যাতে পড়ুয়াদের মনে প্রভাব না ফেলে, তা দেখতে হবে অভিভাবকদেরও। মাঝে মাঝে অনলাইন ক্লাসে বিরতিও দরকার। ইন্ডাস ভ্যালি ওয়ার্ল্ড স্কুলের কলা বিভাগের ডিন প্রিয়দর্শিনী গুহ জোর দিয়েছেন ‘কো-কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি’র উপরে।
লক্ষ্মীপত সিংহানিয়া অ্যাকাডেমির অধিকর্তা মিনা কাকের মতে, অনলাইন ক্লাসের পরিবেশও সুন্দর হতে হবে। পড়ুয়ার যেন মনে না হয়, সে ক্লাস থেকে বিচ্ছিন্ন। মহাদেবী বিড়লার অধ্যক্ষা অঞ্জনা সাহা বললেন, ‘‘হাসি, গল্প, টিফিন ভাগ করে খাওয়া এখন হচ্ছে না। দূর থেকেই সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।’’
বিড়লা হাইস্কুলের অধ্যক্ষা লাভলিন সায়গলের মতে, শিক্ষক-শিক্ষিকারা সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে অনলাইন ক্লাসের বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। নতুন পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে পারস্পরিক আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ।