মারপ্যাচ: বেলতলা গার্লস স্কুলে আত্মরক্ষার কৌশল হাতেকলমে করে দেখাচ্ছে এক ছাত্রী। বুধবার। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য।
তায়কোয়ন্দোর মাধ্যমে কী ভাবে আত্মরক্ষা করা যায়, ক্যারাটের প্যাঁচেই বা কী ভাবে ধরাশায়ী করা যায় প্রতিপক্ষকে, বুধবার তারই নানা কসরত দেখাল নবম থেকে দ্বাদশের ছাত্রীরা। এ দিন বেলতলা গার্লস স্কুলে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে কলকাতার ২৩৩টি স্কুল থেকে আসা নবম থেকে দ্বাদশের বেশ কিছু পড়ুয়া বুঝিয়ে দিল, পড়াশোনার পাশাপাশি আত্মরক্ষার কৌশল শেখাও কতটা জরুরি।
প্রসঙ্গত, সমগ্র শিক্ষা মিশন এবং কলকাতা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে স্কুলের নবম থেকে দ্বাদশের ছাত্রীদের জন্য চলছে ‘রাণী লক্ষ্মীবাঈ আত্মরক্ষা প্রকল্প’। এর অধীনে কলকাতা জেলার সরকারি, সরকার পোষিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ২৩৩টি স্কুলের ছাত্রীরা ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এ দিন বেলতলা গার্লস স্কুলের অনুষ্ঠানে এসে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘কলকাতা দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। তবে শুধু কলকাতা জেলা নয়, এই প্রকল্প জেলার স্কুলগুলির কথা ভেবেও করা। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, প্রতিটি জেলায় স্কুলছাত্রীদের এই প্রকল্পের অধীনে আত্মরক্ষার কৌশল শেখাতে হবে।‘‘ সমগ্র শিক্ষা মিশনের কলকাতা জেলার চেয়ারম্যান কার্তিক মান্না বলেন, ‘‘২০১২ সালের পকসো আইনের কথা ভেবে এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য, মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সেই সঙ্গে ছাত্রীদের মানসিক ও বৌদ্ধিক বিকাশ ঘটানোও লক্ষ্য। ইতিমধ্যেই কলকাতা জেলার ২৩৩টি স্কুলে এই প্রশিক্ষণ হয়েছে। এ বার কলকাতা জেলার বাকি স্কুলগুলির সঙ্গে জেলার স্কুলের পালা।’’
এ দিন বেলতলা গার্লস স্কুলের এই প্রদর্শনী দেখতে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল-সহ অন্য পুলিশকর্তারা। ছিলেন কলকাতার বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকারাও। ছাত্রীদের যে যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল ক্যারাটে, তায়কোয়ন্দো, ঊশু এবং কিক বক্সিং। সমগ্র শিক্ষা মিশনের কর্তারা জানাচ্ছেন, রাজ্যের স্কুলের ছাত্রীদের এই প্রশিক্ষণ জাতীয় স্তরে শিক্ষার পোর্টালে তোলা হবে। যাতে অন্য রাজ্যের স্কুলপড়ুয়ারা বুঝতে পারে, মেয়েদের সার্বিক বিকাশের জন্য এই প্রশিক্ষণ কতটা জরুরি।