—প্রতীকী চিত্র।
নিউ টাউনের সাপুরজি আবাসনের সামনে এক কনস্টেবল হামলা চালানোয় মঙ্গলবার রাতে আতঙ্ক ছড়াল ওই এলাকায়। অভিযোগ, ওই কনস্টেবল মত্ত অবস্থায় হাতে কাটারি নিয়ে আবাসনের নিরাপত্তাকর্মীদের শাসানি দিচ্ছিলেন। তাঁকে নিরস্ত্র করতে গিয়ে কাটারির কোপে জখম হন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। প্রাথমিক ভাবে নিউ টাউনের টেকনো সিটি থানার পুলিশ অভিযুক্ত কনস্টেবলকে গ্রেফতার করলেও পরে তিনি জামিন পেয়ে যান। পুলিশের দাবি, এই ঘটনায় জখম সিভিক ভলান্টিয়ার পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের ধারণা, ওই কনস্টেবল মানসিক অবসাদে ভুগছেন। তা থেকেই তাঁর এমন আচরণ।
সাপুরজির সামনের ওই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে (যার সত্যতা আনন্দবাজার
পত্রিকা যাচাই করেনি)। সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ওই কনস্টেবল টি-শার্ট ও হাফ প্যান্ট পরে কাটারি হাতে আবাসনের গেটের সামনে উদ্ভ্রান্তের মতো আচরণ করছেন। তাঁকে থামানোর জন্য আশপাশের লোকজন পরিত্রাহি চিৎকার করছেন। তাঁকে দেখে আতঙ্কিত বোধ করছেন লোকজন। কয়েক জন ওই কনস্টেবলের আচরণে ভয় পেয়ে গিয়ে গেটের বাইরেও বেরিয়ে আসেন।
টেকনো সিটি থানা সূত্রের খবর, গভীর রাতে ওই দৃশ্য দেখে পথচলতি লোকজনও আবাসনের গেটের বাইরে জড়ো হন। সেই সময়ে ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন কলকাতা পুলিশের এক সিভিক ভলান্টিয়ার। তিনি ওই কনস্টেবলের আচরণ দেখে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন, সেই সঙ্গে তাঁকে নিরস্ত্র করারও চেষ্টা করেন। অভিযোগ, তাঁকে নিরস্ত্র করার চেষ্টা করতেই ওই মত্ত কনস্টেবল রাকিব খান নামে সেই সিভিক ভলান্টিয়ারের উপরে চড়াও হন। রাকিবের হাতে কাটারির কোপ পড়ে। তাতে আহত হন তিনি। জখম ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে রাতেই চিকিৎসা করাতে জিরানগাছা গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার খবর পেয়ে বুধবার ভোরে বিধাননগর কমিশনারেটের টেকনো সিটি থানার পুলিশ
অভিযুক্ত কনস্টেবলকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রের খবর, সিভিক ভলান্টিয়ার কোনও মামলা দায়ের না করায় শুধুমাত্র মত্ত অবস্থায় গোলমাল করার অভিযোগে ওই
কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে থানা থেকেই তিনি জামিন পান। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারও ঘটনাটি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জানা গিয়েছে, তিনি ভাঙড়ের ভগবানপুর গ্রামের বাসিন্দা। পোলেরহাট থানার অধীন গাবতলা বাজারে কর্মরত।
তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, অবসাদজনিত কারণে ওই কনস্টেবল গত কয়েক মাস ধরে কাজেও যাচ্ছেন না। যে ব্যাটালিয়নে বর্তমানে তিনি কর্মরত, মঙ্গলবার রাতের ঘটনাটি সেই ব্যাটালিয়নের কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে পুলিশের দাবি।