মশা দমনে এলাকা ঘুরলেন পুরকর্মীরা

যদিও জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা থেমে নেই বাগুইআটিতে। বুধবার রাতে ওই অঞ্চলের বাগুইপাড়ায় জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন টেলি সিরিয়ালের এক অভিনেতা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৩২
Share:

প্রতীকী ছবি

বাগুইআটির অশ্বিনীনগরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে বুধবার মারা যান কলকাতা পুলিশের এক মহিলা কনস্টেবল। তার পরেই মশা নিয়ন্ত্রণের কাজে জোর বাড়ানো হল এলাকায়। বৃহস্পতিবার এলাকা পরিদর্শনে যায় বিধাননগর পুরসভার একটি দল।

Advertisement

যদিও জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা থেমে নেই বাগুইআটিতে। বুধবার রাতে ওই অঞ্চলের বাগুইপাড়ায় জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন টেলি সিরিয়ালের এক অভিনেতা। তাঁর পরিবারের আরও এক জন জ্বরে আক্রান্ত বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।

এ দিন বিধাননগর পুরসভার কর্মীরা অশ্বিনীনগরের কিছু জায়গা পরিদর্শন করেন। ১৫-১৬টি বাড়িতে যান। পরে পুরকর্মীরা জানান, এলাকায় কামান দাগা, মশার তেল ছড়ানো এবং পরিচ্ছন্নতা বাড়াতে জোর দেওয়া হয়েছে। তবে রাজারহাটের দশদ্রোণ থেকে শুরু করে বেশ কিছু এলাকায় ছবিটা অল্প-বিস্তর একই। বিধাননগর পুরসভার একটি সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ডেঙ্গি ও জ্বর মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে সাতশো। যদিও স্থানীয়দের বক্তব্য, তথ্য গোপন করা হচ্ছে। আদতে সংখ্যাটা অনেক বেশি। এই অভিযোগ অস্বীকার করে পুরসভা জানিয়েছে, অনেকেই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছেন। সেই তথ্য তাদের কাছে পৌঁছতে সময় লাগছে।

Advertisement

বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় নিয়মিত মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ হয়নি। যদিও পুরসভা তা অস্বীকার করেছে। তবে এলাকায় গিয়ে প্লাস্টিক থেকে শুরু করে যে আবর্জনার স্তূপ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে, তাতে জল জমে মশার বংশবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, নিয়মিত কাজ করা হলে মশার প্রকোপ এত বাড়ল কী ভাবে?

পুরসভার একটি অংশের পাল্টা অভিযোগ, মানুষের মধ্যে এখনও সচেতনতার অভাব রয়েছে। বহু বাড়িতে পুরকর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। যে সব বাড়িতে ঢোকা গিয়েছে, সেখানে কিছু ক্ষেত্রে জমা জলে লার্ভা মিলেছে। পাশাপাশি কেষ্টপুর, বাগজোলা খাল সংলগ্ন এলাকাতেও জ্বরের সংক্রমণ হচ্ছে বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে বহু নিচু জায়গা ও জলাশয় রয়েছে, যার ধারে অস্থায়ী ঝুপড়ি তৈরি করে বাস করছেন মানুষজন। পুরকর্মীদের অভিযোগ, সেই স্থির জলে মশা জন্মাচ্ছে। অথচ সেখানে মশা দমনের কাজ করা যাচ্ছে না। তবে মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, পুরকর্মীরা সব রকমের চেষ্টা করছেন। এ দিন পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেক্টরের নেতৃত্বে একটি দল এলাকা পরিদর্শন করেছে। মানুষকে সচেতন করতে আরও জোর দিতে হবে। সেই কাজ করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement