Road Accident

নিউ টাউনে আবার বেপরোয়া গতির বলি দু’জন

দুর্ঘটনার সময়ে বাইকটি চালাচ্ছিলেন লিটন। রাস্তার ডিভাইডারে বাইক ধাক্কা মারলে ছিটকে পড়েন তাঁরা। দু’জন ঘটনাস্থলেই মারা যান বলে পুলিশের দাবি। তৃতীয় জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:১৪
Share:

অভিজিৎ মজুমদার (বাঁ দিকে) ও লিটন বৈরাগী (ডান দিকে)।

নিউ টাউনে ফের বেপরোয়া গতির জেরে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই বাইক আরোহীর। আহত হয়ে সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তৃতীয় যুবক। বুধবার গভীর রাতে ইকো পার্কের কাছে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম অভিজিৎ মজুমদার (২৭) ও লিটন বৈরাগী (২৮)। জখম তৃতীয় যুবক প্রসাদ মজুমদারকে প্রথমে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে ও পরে সেখান থেকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময়ে বাইকটি চালাচ্ছিলেন লিটন। রাস্তার ডিভাইডারে বাইক ধাক্কা মারলে ছিটকে পড়েন তাঁরা। দু’জন ঘটনাস্থলেই মারা যান বলে পুলিশের দাবি। তৃতীয় জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।

নিউ টাউনের বিশ্ববাংলা সরণিতে বেপরোয়া গতির জেরে প্রায়ই মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন বাইক আরোহীরা। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই তিন জন মত্ত অবস্থায় লিটনের ভাইয়ের বাইকে চেপে পান খেতে বেরিয়েছিলেন। বাইক চালাচ্ছিলেন লিটন। তাঁরা সকলেই জ্যাংড়া-হাতিয়াড়া (২) পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। তিন জনের কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না বলে দাবি পুলিশের। দুর্ঘটনায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে লিটন ও অভিজিতের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। লিটনের মাথা ফাঁক হয়ে যায়। প্রসাদের কানে আঘাত লাগে। পুলিশের ধারণা, দুর্ঘটনার সময়ে বেপরোয়া গতিতে এঁকেবেঁকে ছুটছিল বাইকটি। সেই কারণেই রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা মারে সেটি। দুর্ঘটনার সময়ে তাঁরা মত্ত অবস্থায় ছিলেন কি না, তা মৃতদের দেহের ময়না তদন্তের পরেই জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

দুর্ঘটনার খবরে শোকস্তব্ধ ওই যুবকদের পাড়া। পরিবার সূত্রের খবর, অভিজিৎ ওরফে সন্তু গুরুদাস কলেজের কলা বিভাগের ছাত্র ছিলেন। লিটনদের গাড়ির ব্যবসা। তাঁর ভাইয়ের ছোট লরির ব্যবসা রয়েছে। লিটন নিজেও ছোট লরি চালাতেন। অভিজিতের জেঠা বিপুল মজুমদার বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘রাতে তিন জন বাইক নিয়ে বেরিয়েছিল। কোথায় যাচ্ছে, কিছুই বলে যায়নি। বেশি রাতে দুর্ঘটনার খবর আসে। আমরা বিশ্বাসই করতে পারছি না।’’

ঘটনার পরে বিধাননগর কমিশনারেটের তরফেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও পুলিশকর্তারা জানান, পথ নিরাপত্তার জন্য সব রকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে। রাস্তায় স্পিড ব্রেকারও বসানো হচ্ছে। কিন্তু মানুষকেও সতর্ক হতে হবে বলে মনে করছেন পুলিশকর্তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement