Question Leak

প্রধান শিক্ষকের নামে ভুয়ো বার্তা, চেষ্টা প্রশ্ন ফাঁসের

স্কুলের বিভিন্ন শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের নাম করে একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠানো হয়। সঙ্গে একটি হোয়াটসঅ্যাপ ভয়েস মেসেজও। সেই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের ছবিও ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৩ ০৭:২২
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

স্কুলের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউশন স্কুলের ভবানীপুর শাখায়। শুধু তা-ই নয়, প্রধান শিক্ষকের নামে এই সংক্রান্ত একটি ভুয়ো হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা এবং গলা নকল করে ভয়েস মেসেজও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ওই স্কুলের অন্য শিক্ষকদের মধ্যে। যা পেয়ে রীতিমতো হতবাক তাঁরা। প্রধান শিক্ষক রাজা দে জানিয়েছেন, কোনও মতে প্রশ্ন ফাঁস রোখা গিয়েছে। কলকাতা পুলিশের সাইবার অপরাধ শাখায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। কে বা কারা এ ভাবে প্রধান শিক্ষকের নামে ভুয়ো হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট তৈরি করল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

প্রধান শিক্ষক জানান, ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে। স্কুলের বিভিন্ন শিক্ষককে তাঁর নাম করে একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠানো হয়। সঙ্গে একটি হোয়াটসঅ্যাপ ভয়েস মেসেজও। সেই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের ছবিও ছিল। বার্তা পেয়ে শিক্ষকেরা দেখেন, নতুন একটি নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ থেকে প্রধান শিক্ষক লিখেছেন, সামনের দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের দশম শ্রেণির প্রশ্নপত্র তাঁর কাছে রাত ১২টার মধ্যে পাঠাতে হবে। কারণ, ওই প্রশ্নগুলি তাঁকে আবার বোর্ডে পাঠাতে হবে। রাজা বলেন, ‘‘আমার ছবি দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর। তাই কোনও শিক্ষকেরই সন্দেহ হয়নি।
তাঁরা ভেবে নেন, নিজেরই অন্য কোনও নম্বর থেকে আমি হোয়াটসঅ্যাপ করেছি। আমরা কেউই সাধারণত প্রোফাইলে চেনা লোকের ছবি দেখলে সেই হোয়াটসঅ্যাপের ফোন নম্বরটা মিলিয়ে দেখি না। কারণ, অনেকেরই আজকাল একাধিক নম্বর থাকে। তাই এ
ক্ষেত্রেও হোয়াটসঅ্যাপে আমার ছবি দেখে শিক্ষকদের কারও আর সন্দেহ হয়নি। ওই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর আমারই কি না, তা আর যাচাই করেননি কেউ।’’

রাজা জানান, ভয়েস মেসেজটা শুনে পদার্থবিদ্যার শিক্ষকের একটু সন্দেহ হয়। তাঁর মনে হয়েছিল, গলাটা হয়তো বা অন্য কারও। রাজা বলেন, ‘‘তখন ওই শিক্ষকই আমাকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করেন যে, আমি রাত ১২টার মধ্যে দশম শ্রেণির ভৌতবিজ্ঞানের প্রশ্ন পাঠাতে বলে কোনও বার্তা পাঠিয়েছি কি না। আমি তো আকাশ থেকে পড়ি। সঙ্গে সঙ্গে বলি, ওই রকম কোনও মেসেজ আমি পাঠাইনি। এর পরে ওই শিক্ষক আমাকে সেই ভুয়ো মেসেজটা পাঠান। সঙ্গে সঙ্গে আমি আমাদের শিক্ষকদের গ্রুপে সাবধান করে দিই, কেউ যেন কোনও প্রশ্ন ওই নম্বরে না পাঠান।’’

Advertisement

স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে কে বা কারা এই কাণ্ড করল? পড়ুয়াদের কেউ নয়তো? রাজা বলেন, ‘‘স্কুলে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, কোনও ছাত্র যদি এই কাজ করে থাকে, সে যেন নিজেই আমাদের কাছে এসে তা জানায়।’’ রাজা বলেন, ‘‘শিক্ষকেরা তো প্রশ্নপত্র আর একটু হলেই পাঠিয়ে দিতেন। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর মাধ্যমে আমার গলা নকল অনেকটা করলেও পুরোটা পারেনি। তাতেই সন্দেহ হওয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া থেকে বাঁচা গেল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement