আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরে পুলিশ ও দমকলকর্মীরা তেতলার ঘরটিতে ঢুকে দেখলেন, পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে শেষ ঘুমে ঢলে পড়েছেন চার জন। পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছেন সকলেই। বৃহস্পতিবার ভোরে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে মহেশতলার চটাবাজার এলাকায় একটি কাপড়ের কারখানায়। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় এক শ্রমিক এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ জানান, মৃতদের নাম আশিক খান (২০), গুড্ডু আলম (২৫), জুনে আলম (২৭) ও মোজাম্মেল হোসেন (৩০)।
পুলিশি সূত্রের খবর, ওই তেতলা কারখানায় জিনসের প্যান্ট তৈরি হতো। কাজ করতেন প্রায় ৩০ জন। এ দিন ভোরে প্রথমে আগুন লাগে কারখানার একতলায়। মুহূর্তে তা ছড়িয়ে পড়ে দোতলায়। একতলা ও দোতলায় থাকা শ্রমিকেরা কোনও রকমে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন। নাসির নামে এক শ্রমিককে দড়ির সাহায্যে নামিয়ে আনা হয়। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। দমকলের অনুমান,আগুন লেগেছে শর্ট সার্কিট থেকেই।
প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, কারখানার দু’টি তলা আগুনের গ্রাসে চলে যাওয়ায় চার জন শ্রমিক তেতলা থেকে নেমে আসতে পারেননি। সিঁড়ি দিয়ে নামা সম্ভব ছিল না। তেতলা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার ঝুঁকিও সম্ভবত নিতে পারেননি তাঁরা। বেরোতে না-পেরে অগ্নিদগ্ধ হন ওই চার জন। পুলিশ জেনেছে, কারখানাটি অনুমতি ছাড়াই চলছিল। কারখানাটির মালিক আনিসুর রহমান পলাতক।