—প্রতীকী চিত্র।
ডেঙ্গি-নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে স্থানীয় পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতরের মধ্যে মাঝেমধ্যেই সমন্বয়ে খামতি দেখা যায়। একই ধরনের সমস্যার কথা উঠে এল ভারত ও বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের আলোচনায়। বৃহস্পতিবার ‘ইন্ডিয়ান পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন’ (আইপিএইচএ)-এর সম্মেলনে আলোচনার একটি বিষয়ই ছিল, ডেঙ্গি-নিয়ন্ত্রণ।
এ দিন রবীন্দ্রতীর্থে আয়োজিত ওই আলোচনায় বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সংগঠনের কর্তা, চিকিৎসক আবু জামিল ফৈয়জল ও নিজামউদ্দিন আহমেদ, দু’জনেই জানান, প্রতিবেশী দেশেও ডেঙ্গি পরিস্থিতি ও তাতে মৃত্যুর ছবিটা উদ্বেগজনক। এ রাজ্যের মতো সে দেশেও শহরাঞ্চল ছেড়ে গ্রামীণ এলাকায় মশাবাহিত এই রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান ওই চিকিৎসকেরা। একই ভাবে উঠে আসে মানুষের সচেতনতায় খামতির দিকটিও। কলকাতা শহরে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে পুরসভা কী কী কাজ করেছে, সেই বিষয়টিও তুলে ধরেন পুরসভার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা তপন মুখোপাধ্যায়। বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি নির্মীয়মাণ বাড়ি বা বহুতলে নজরদারি চালানো এবং প্রতিটি পুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডেঙ্গি পরীক্ষার ব্যবস্থাপনার দিকটিও তুলে ধরা হয়। রাজ্যের যে সমস্ত জেলা বিপজ্জনক রকমের ডেঙ্গিপ্রবণ তালিকায় রয়েছে, সেখানে ডেঙ্গি প্রতিরোধে কী ধরনের পদক্ষেপের পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সে বিষয়ে জানান রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর (হেলথ সার্ভিস) তাপস রায়।
প্রতি বছর ডেঙ্গির মরসুম শুরু হওয়ার আগে পতঙ্গবিদ দিয়ে সমীক্ষা চালানো হলেও বার বার ডেঙ্গি ফিরে আসে কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। বিশেষজ্ঞেরা জানান, ডেঙ্গির চারটি স্ট্রেন তিন-চার বছর অন্তর ঘুরে-ফিরে আসে। কেউ একটি স্ট্রেনে আক্রান্ত হলে অপরটিতে হবেন না, এমনটাও নয়।
এ দিন জাতীয় স্বাস্থ্য কর্মসূচির বিষয়ে আলোকপাত করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ যুগলকিশোর, মেজর-জেনারেল, চিকিৎসক অতুল কোতোয়াল, ন্যাশনাল ভেক্টর বোর্ন ডিজ়িজ় কন্ট্রোলের পরামর্শদাতা, চিকিৎসক কল্পনা বড়ুয়া এবং নেপালের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ-সহ অন্যেরা।