প্রতীকী ছবি।
বৃষ্টি হচ্ছে অঝোরে। তারই মধ্যে গুলিনিরোধক জ্যাকেট পরা পুলিশের বিরাট বাহিনী ঘিরে ফেলল একটি পাঁচতলা বহুতল। আটটি দলে ভাগ হয়ে তারা ঢুকে পড়ল ভিতরে। বাইরে তখন দাঁড়িয়ে বাহিনীর বাকিরা। বহুতলের প্রতিটি ঘর থেকে ছাদ, সর্বত্র চলল তল্লাশি।
বাঁশদ্রোণীর সোনালি পার্ক এবং এ জে সি বসু রোডে ‘শুটআউট’-এর দু’টি ঘটনার পরে শহরের দু’জায়গায় রিভলভার উঁচিয়ে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সেই দুই ঘটনার তদন্তে নেমেই অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের ধরতে সোমবার রাতে পুলিশ হানা দিয়েছিল বড়বাজার থানার গোবিন্দচন্দ্র ধর লেনের ওই বহুতলে। তবে তল্লাশি চালানো হলেও কাউকে ধরা যায়নি।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর বৌবাজার থানার মলঙ্গা লেনের একটি ওষুধের দোকানে হানা দেয় দুই দুষ্কৃতী। বাইরে পাহারায় ছিল তিন শাগরেদ। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ৬০ হাজার টাকা লুট করে তারা। এর দিন চারেক পরে গত শনিবার বিকেলে জোড়াসাঁকো থানার কাশীনাথ মল্লিক লেনে একটি পরিবহণ সংস্থার অফিসে ঢুকে লুটপাট চালায় পাঁচ ডাকাত। পুলিশ জানিয়েছে, দু’টি ঘটনার ক্ষেত্রেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। লালবাজারের এক কর্তা জানান, ওই দুষ্কৃতীরা সম্ভবত একই দলের সদস্য।
এ দিকে, এ দিন চন্দননগরের গঞ্জের বাজারে একটি স্বর্ণ ঋণ প্রদানকারী সংস্থায় ডাকাতি করে পালানোর সময়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে তিন দুষ্কৃতী। তাদের সঙ্গীরা অবশ্য পালিয়ে যায়।
তাদের সঙ্গে কলকাতার ডাকাতদের কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা জানতে এ দিন লালবাজারের একটি দল সেখানে যায়।