Firecrackers Market

দেদার নিষিদ্ধ বাজি বিক্রির আশঙ্কা

বাজি বিক্রিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিকিৎসক থেকে পরিবেশকর্মীরা। আশঙ্কা, করোনার জন্য দু’বছর বাজি বিক্রির দাপট কমেছিল। এ বার বাজির দাপটে কালীপুজোয় ফের দূষণ ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২২ ০৯:০০
Share:

ফাইল চিত্র।

করোনা অতিমারিতে গত দু’বছরে বাজি বাজার বসার অনুমতি দেওয়া হয়নি শহরে। পুলিশ সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরে শহরের পাঁচ জায়গায় সরকারি বাজি বাজার অনুমোদন পেতে পারে। যদিও চিকিৎসক থেকে পরিবেশকর্মীদের মতে, বাজি মাত্রেই ক্ষতিকারক। তাই বাজির বিক্রি বন্ধ করে আলোর উৎসবে সংযম দেখানোর পরামর্শই দিচ্ছেন তাঁরা।

Advertisement

এ শহরে টালা, শহিদ মিনার, বেহালা, কালিকাপুর ও বিজয়গড়ে বাজি বাজার বসে। এর মধ্যে শহিদ মিনারের বাজি বাজারটি এ বার বসবে বাগবাজারে। ওই বাজারের সম্পাদক শান্তনু দত্তের কথায়, ‘‘শহিদ মিনারে বাজি বাজার ব্যয়সাপেক্ষ। তা ছাড়া, সেনাবাহিনীর অনুমতি পেতেও সমস্যা হয়। তাই এ বার বাগবাজারের মাঠে বাজি বাজার বসবে।’’ আগামী ১৮-২৪ অক্টোবর পাঁচটি সরকারি বাজি বাজার বসবে বলে জানা গিয়েছে।

তবে, ফের সরকারি ভাবে বাজি বিক্রিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিকিৎসক থেকে পরিবেশকর্মীরা। তাঁদের আশঙ্কা, করোনার জন্য দু’বছর বাজি বিক্রির দাপট কমেছিল। এ বার বাজির দাপটে কালীপুজোয় ফের দূষণ ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে। সেই সঙ্গে থাকবে শব্দবাজির দাপটও। যদিও ‘বাজি বাজার ব্যবসায়ী সমিতি’র দাবি, সরকার অনুমোদিত পরিবেশবান্ধব বাজিই বিক্রি করে তারা। টালা পার্ক বাজি বাজারের সভাপতি তথা ‘পশ্চিমবঙ্গ বাজি শিল্প উন্নয়ন সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর মান্না বলেন, ‘‘কালীপুজোয় শহরে বিক্রি হওয়া বাজির মাত্র ১০ শতাংশই এই বাজারগুলিতে পাওয়া যায়। সব নিয়ম মেনেই বাজি বিক্রি করি। কিন্তু বাইরে থেকে আসা বাজির দিকে প্রশাসনের নজর দেওয়া দরকার।’’

Advertisement

নিয়ম মতো এ রাজ্যে শব্দবাজির নির্ধারিত মাত্রা ৯০ ডেসিবেল। কিন্তু এ বার নিষিদ্ধ বাজি অবাধে বিক্রির আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদেরা। পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের অভিযোগ, ‘‘পরিবেশবান্ধব বাজি বলে কিছু হয় না। বাজি বিক্রি একেবারে বন্ধ করলেই ভাল। এ বার চোরাপথে নিষিদ্ধ বাজি দেদার বিক্রির আশঙ্কা করছি। পুলিশ-প্রশাসন কঠোর না হলে আমাদেরই ভুগতে হবে।’’

বাজির ক্ষতিকারক দিকটি মনে করিয়ে বক্ষরোগ চিকিৎসক ধীমান গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘শব্দবাজি ছাড়াও যে সমস্ত বাজি থেকে কম শব্দ হয়, সেগুলিও সমান ক্ষতিকারক। সব বাজি থেকেই নির্গত ধোঁয়া দূষণছড়ায়। বাজি বিক্রি বন্ধে প্রশাসন কঠোর হলেই মঙ্গল।’’ আর এক বক্ষরোগ চিকিৎসক অনির্বাণ নিয়োগীর কথায়, ‘‘আতশবাজি বা শব্দবাজির বিষ-ধোঁয়ার বিপদ ভয়াবহ। তাই এ বারও বাজি বিক্রিতে নিয়ন্ত্রণ থাকলে ভাল।’’ রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক আধিকারিক জানান, বাজি ও নিষিদ্ধ বাজি বিক্রিতে নজরদারির কাজ পুলিশের। আর কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘এ বার বাজি বিক্রিতে কঠোর নজরদারি থাকবে। নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement