প্রতীকী ছবি।
বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য এবং কোভিড-বর্জ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ ও তা নষ্ট করার জন্য রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তত্ত্বাবধানে পুরোপুরি পৃথক, স্থায়ী পরিকাঠামো গড়ে তোলা হোক। পুর এলাকাগুলিতে কোভিড-বর্জ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ ও নষ্টের জন্য তৈরি করা হোক আলাদা নজরদারি দল। কারণ কোথাওই কোভিড-বর্জ্য ঠিক ভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা একটি চিঠিতে এই আবেদন জানাল পরিবেশকর্মীদের সংগঠন ‘সবুজ মঞ্চ’।
সংগঠনের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিতে কোভিড-বর্জ্য সংগ্রহ-সহ সমস্ত পর্যায়ে যে অব্যবস্থা রয়েছে, তারই উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে জানানো হয়েছে, শুধু হাসপাতালই নয়, গৃহ-পর্যবেক্ষণে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহের পাশাপাশি যাঁরা সম্ভাব্য আক্রান্তের তালিকায় রয়েছেন, তাঁদের থেকেও ঠিক ভাবে কোভিড-বর্জ্য সংগ্রহ করতে হবে। সংগঠনের সম্পাদক নব দত্ত বলেন, ‘‘আমরা কোভিড ১৯-এর প্রতিষেধক, সংক্রমণ আটকাতে কী কী করতে হবে— এমন হাজারো বিষয়ে আলোচনা করছি। কিন্তু কোভিড-বর্জ্য নিয়ে তেমন ভাবে কোনও আলোচনা হচ্ছে না। অথচ বর্জ্য সংগ্রহ যাতে চূড়ান্ত সতর্কতার সঙ্গে সামলানো হয়, সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে।’’
সংগঠনের বক্তব্য, কোভিড বর্জ্য শুধু হলুদ ব্যাগে পৃথক করে রাখতে হবে এটুকু বলাই যথেষ্ট নয়। এই বর্জ্য নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মী, সাধারণ মানুষের মধ্যেও সচেতনতা তৈরি করা দরকার। এর জন্য আলাদা কর্মসূচিই গ্রহণ করা দরকার। ঠিক তথ্য ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই একমাত্র কোভিড-বর্জ্য নিয়ে ঠিক পদক্ষেপ করা সম্ভব।
এর আগেও কোভিড-বর্জ্য নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। জাতীয় পরিবেশ আদালতে তার শুনানিও হয়েছে। সেখানে রাজ্য সরকার ও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কত কোভিড-বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মামলার আবেদনকারী পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের কথায়, ‘‘হলফনামায় কোভিড-বর্জ্যের যে পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে, বাস্তবে তার থেকে অনেক বেশি বর্জ্য হওয়ার কথা। এত মানুষ হোম আইসোলেশন, কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রয়েছেন। কোভিড-বর্জ্যের ক্ষেত্রে এই সমস্ত জায়গা ধরতে হবে। না-হলে বর্জ্যের সামগ্রিক চিত্রটা অধরাই থেকে যাবে।’’