প্রতীকী ছবি।
অন্য বছরগুলোয় তো বটেই। এ বার করোনা পরিস্থিতিতে বাজি-দূষণ রুখতে আরও বেশি করে পুলিশকে ‘ত্রাতা’ বলে মনে করছে রাজ্য পরিবেশ দফতর। তাই আগামী সোমবার পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করা হবে বলে দফতর সূত্রের খবর।
কালীপুজো ও দীপাবলিতে বাজি-দূষণ আটকানোর রূপরেখা ঠিক করতে মঙ্গলবার পরিবেশমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়। তিনি জানান, গত বছরে যেমন বেআইনি বাজি প্রস্তুতকারী সংস্থা ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযান, জরিমানা, এমনকি মামলাও করা হয়েছিল, এ বছরও তেমনই হবে। তাঁর কথায়, ‘‘এ ব্যাপারে পুলিশি সাহায্য চাই। কারণ, অত লোকবল আমাদের নেই।’’ সোমবারের বৈঠকে আবাসন সমিতি ও চিকিৎসকদের সংগঠনেরও থাকার কথা।
যদিও বাজি-দূষণ রুখতে পুলিশের সক্রিয়তা নিয়ে সংশয়ী পরিবেশকর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, অতীতের অভিজ্ঞতায় স্পষ্ট যে, কালীপুজো ও দীপাবলিতে পুলিশি ‘নিষ্ক্রিয়তা’র কারণেই শব্দ-তাণ্ডব চলে। পুলিশের তরফে অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
আরও পড়ুন: সিরিয়ালে কাজ দেওয়ার নামে ফের প্রতারণা, ধৃত এক
পরিবেশমন্ত্রী জানাচ্ছেন, করোনা সংক্রমণ ও বাজির দূষণ ওতপ্রোত ভাবে জড়িত থাকায় এ বছর স্কুলপড়ুয়াদের কাছেও বাজি না ফাটানোর আবেদন জানানো হবে অনলাইনে। আবেদন রাখা হবে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির কাছেও। সংবাদপত্রের মাধ্যমেও এই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল জানে ‘নিখোঁজ’, সন্ধান ওয়ার্ডেই
এখনও বাজি বাজারের অনুমোদন পেতে তেমন কোনও আবেদন দফতরে জমা পড়েনি। তাই এ বছর তেমন ভাবে বাজি বাজার হবে না বলেই আশা দফতরের কর্তাদের। পাশাপাশি, বাজি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া একটি মামলার রায়ের উপরে ভিত্তি করে বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।