প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ফাঁকা থাকা নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরেই আলোচনা চলছে। ভবিষ্যতে এই ভাবে যাতে আসন ফাঁকা না থাকে, তার জন্য পদক্ষেপ করতে সম্প্রতি পড়ুয়াদের একাংশও কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষও আসন ফাঁকা থাকা আটকাতে উদ্যোগী হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৪-’২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষার যে দিন ঘোষণা করা হয়েছে, তা নিয়ে ফের বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
প্রেসিডেন্সির প্রবেশিকা পরীক্ষা নেয় রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। বোর্ড জানিয়েছে, চলতি বছরে স্নাতকের প্রবেশিকা নেওয়া হবে ২৭ এবং ২৮ জুলাই। লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা এ বছর অনেকটা এগিয়ে এনে ফেব্রুয়ারিতেই শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই সিবিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষাও শেষ হওয়ার কথা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, গোটা দেশেই ১০ জুনের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সমস্ত বোর্ডের ফল প্রকাশ করতে হয়। এই পরিস্থিতিতে জুলাইয়ের একদম শেষে প্রেসিডেন্সির স্নাতকে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষা রাখায় তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে মেধা তালিকা অনুযায়ী ভর্তির পর্ব শেষ হতে অগস্ট মাস শেষ হয়ে যাবে বলেই সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, এত দেরিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হলে আসন কি আদৌ সব ভরানো যাবে? পড়ুয়ারা তত দিন অপেক্ষা না করে অন্য জায়গায় ভর্তি হয়ে যাবেন না তো? এর পরে প্রথম সিমেস্টারের ক্লাসই বা কবে শেষ হবে? আর পরীক্ষা কবে হবে?
প্রেসিডেন্সির এসএফআই ইউনিটের সম্পাদক বিতান ইসলাম বলেন, ‘‘এত দেরিতে প্রবেশিকা হলে বেশির ভাগ পড়ুয়াই অন্যত্র ভর্তি হয়ে যাবেন। প্রেসিডেন্সিতে আসন ফাঁকা থাকার সমস্যার সমাধান হবে না।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ফেব্রুয়ারি মাসে উচ্চ মাধ্যমিক দিয়ে জুলাই মাসে ভর্তির পরীক্ষা দিতে গিয়ে পড়ুয়ারা অনেকেই পড়াশোনার মধ্যে থাকবেন না। এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে এই পরীক্ষা নিয়ে নেওয়া হোক বলে তাঁরা দাবি তুলেছেন। বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষকে এসএফআই জানাবে। প্রয়োজনে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডকেও তারা জানাবে বলে সংগঠনের বক্তব্য। অপর একটি ছাত্র সংগঠন আইসি-র তরফে অভিনন্দা ঘটক জানান, এত দেরিতে ভর্তির পরীক্ষা ও প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় অনেক ছাত্রছাত্রীই অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে যাবেন। প্রেসিডেন্সির আসন ফাঁকা থাকবে। এই নিয়ে প্রেসিডেন্সির ভর্তি কমিটির নোডাল অফিসার অরবিন্দ নায়েককে ফোন এবং মেসেজ করেও কথা বলা যায়নি।