আগাম জামিন চাইলেন গা-ঢাকা দেওয়া প্রতাপ

চাপের মুখে এ বার আগাম জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন আলিপুরের তৃণমূল নেতা প্রতাপ সাহা। বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের সভায় হামলা চালানো এবং পুলিশকে নিগ্রহের অভিযোগে প্রতাপের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে আলিপুর থানা। ওই তৃণমল নেতাকে ধরার জন্য ঘটনার দিন থেকেই উপরতলার উপরে চাপ সৃষ্টি করে আসছে নিচুতলার পুলিশেরা। প্রতাপের বিরুদ্ধে তাঁদের নিগ্রহের স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও দায়ের করেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা। এই নেতার বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহেও নেমেছেন তাঁরা। তবে দলের নির্দেশে গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছেন প্রতাপ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:০৬
Share:

চাপের মুখে এ বার আগাম জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন আলিপুরের তৃণমূল নেতা প্রতাপ সাহা।

Advertisement

বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের সভায় হামলা চালানো এবং পুলিশকে নিগ্রহের অভিযোগে প্রতাপের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে আলিপুর থানা। ওই তৃণমল নেতাকে ধরার জন্য ঘটনার দিন থেকেই উপরতলার উপরে চাপ সৃষ্টি করে আসছে নিচুতলার পুলিশেরা। প্রতাপের বিরুদ্ধে তাঁদের নিগ্রহের স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও দায়ের করেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা। এই নেতার বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহেও নেমেছেন তাঁরা। তবে দলের নির্দেশে গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছেন প্রতাপ।

তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের নেতৃত্বের তরফ থেকেই গ্রেফতারি এড়াতে প্রতাপকে আগাম জামিনের আবেদন করতে বলা হয়েছে। আপাতত তাঁকে প্রকাশ্যে আসতেও বারণ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে আলিপুর আদালতে ওই নেতার হয়ে আগাম জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। ওই আর্জির শুনানি হতে পারে আগামী ২৪ এপ্রিল। তবে তার আগে প্রতাপকে গ্রেফতার করতে তাঁদের কোনও বাধা নেই বলেই জানিয়েছে পুলিশ। এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘সাধারণত এ সব ক্ষেত্রে অভিযুক্তের আইনজীবী চিঠি দিয়ে আমাদের আবেদনের বিষয়টি জানান। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমরা কোনও চিঠি পাইনি। চিঠি পেলেও প্রতাপকে ধরতে আমাদের কোনও আইনি সমস্যা নেই।’’

Advertisement

পুলিশের নিচুতলা প্রতাপের উপরে এত ক্ষুব্ধ কেন?

গত নভেম্বর মাসে আলিপুর থানায় হামলার ঘটনার পরেই পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের অনুগামী প্রতাপকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছিল পুলিশের নিচুতলার একাংশ। কিন্তু সেই সময় লালবাজারের হস্তক্ষেপে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই দায়ের করা হয়নি।
কিন্তু রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের সভায় হামলার ঘটনার দিন প্রতাপের ছবি ওঠে গোপালনগর মোড়ের সিসিটিভি-তে। ওই সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় প্রতাপ পুলিশের কাজে সরাসরি বাধা দিচ্ছেন। এর পরেই প্রতাপের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য উপরতলার উপরে চাপ সৃষ্টি করেন নিচুতলার কর্মীরা।

পুলিশ সূত্রের খবর, প্রতাপকে গ্রেফতারের আগে তাঁর বিরুদ্ধে আরও তথ্য প্রমাণ জোগাড় করার কাজ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই ওই এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ এবং বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে ভিডিও ছবি সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা।

শনিবার পুরসভার ভোটের দিন এলাকায় প্রতাপ ঘুরে বেড়াতে পারেন, এমন একটা খবর পুলিশের কাছে ছিল। কিন্তু এ দিন তাঁকে আলিপুরে দেখা যায়নি বলে পুলিশ সূত্রের খবর। পুলিশের অন্য একটি সূত্রের অবশ্য দাবি, প্রতাপ এলাকায় কোনও গোপন ডেরায় বসে
অচেনা মোবাইল নম্বরে সঙ্গীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন ভোটের দিন। তাঁর নিজের মোবাইল ফোনটি এ দিনও বেজে গিয়েছে। গোপাল নগরে প্রতাপের ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল কর্মী বলেন, ‘‘দল থেকে প্রতাপদাকে প্রকাশ্যে আসতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে আমাদের সঙ্গে সব সময়েই যোগাযোগ রাখছেন তিনি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement