Kolkata Municipal Corporation

বর্ষাতি কেলেঙ্কারি নিয়ে দেড় মাসেও নড়ল না পুরসভার শিক্ষা দফতর

প্রায় সাত মাস আগে পুরসভার রেসিডেন্সিয়াল অডিট অফিসার অভ্যন্তরীণ অডিট রিপোর্টে জানিয়েছিলেন, পুরসভার স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য ছ’বছর আগে বর্ষাতি কেনার ক্ষেত্রে কোনও নিয়মই মানা হয়নি।

Advertisement

মেহবুব কাদের চৌধুরী

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৪ ০৭:৫৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

দরপত্র ছাড়াই পুরসভার স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য প্রায় ৭৪ লক্ষ টাকার বর্ষাতি কেনা হয়েছিল। সেই অনিয়ম নিয়ে দেড় মাস আগেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম নির্দেশ দেন, দোষীদের চিহ্নিত করে শীঘ্রই শোকজ় করতে হবে। অভিযোগ, সেই নির্দেশ উপেক্ষা করছে পুর শিক্ষা দফতর। যা নিয়ে মেয়র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

Advertisement

প্রায় সাত মাস আগে পুরসভার রেসিডেন্সিয়াল অডিট অফিসার অভ্যন্তরীণ অডিট
রিপোর্টে জানিয়েছিলেন, পুরসভার স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য ছ’বছর আগে বর্ষাতি কেনার ক্ষেত্রে কোনও নিয়মই মানা হয়নি। দরপত্র ছাড়াই একটি সংস্থাকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরে পুরসভার শীর্ষ কর্তাদের নজরে আসে, ২০১৮ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বর্ষাতি কেনার জন্য শিক্ষা দফতর যে দরপত্র ডাকে, তাতে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে। অর্থ দফতর সেই দরপত্রে অনুমোদন দেয়নি। ওই দরপত্র প্রক্রিয়ায় বিশেষ ছাড় দিতে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে ফাইল পাঠানো হয়। মেয়র সেই ফাইলে ‘নো’ লিখে দেন। অর্থাৎ, এ ভাবে কোনও মতেই বর্ষাতি কেনা যাবে না। তার পরেও পুর শিক্ষা দফতর মোট ৭৩ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ২২ হাজার ৪০টি বর্ষাতি কিনেছিল।

অনিয়ম সামনে আসতেই অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে থানায় এফআইআর করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মেয়র। আগে এফআইআর করলে দোষীরা গ্রেফতার হয়ে আদালত থেকে ছাড়া পেয়ে যাবেন ভেবে পরে সিদ্ধান্ত বদল হয়। পরিবর্তে পুরসভার তরফে পূর্ণাঙ্গ তদন্তে দোষীদের চিহ্নিত করে ধাপে ধাপে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু শিক্ষা দফতরের চিফ
ম্যানেজারের ‘নমনীয়’ মনোভাবে পুরসভার আধিকারিকদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শৌচাগার-দুর্নীতি কাণ্ডের পরে ফের বর্ষাতি কেলেঙ্কারির তদন্তের গতি নিয়ে ‘উদাসীনতা’র অভিযোগ উঠেছে পুরসভার শিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে বৃহস্পতিবার মেয়র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘এ ভাবে চলতে পারে না। তদন্তে কেন এত দেরি হচ্ছে, তা নিয়ে শিক্ষা দফতরের চিফ ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলব।’’

Advertisement

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পুরসভার চিফ ম্যানেজার (শিক্ষা) সিদ্ধার্থশঙ্কর ধাড়ার অবশ্য দাবি, ‘‘এগুলি সব ভুল খবর।’’ পুরসভার বর্তমান কমিশনার ধবল জৈন বলেন, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখতে যুগ্ম পুর কমিশনারকে (শিক্ষা) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement