ছবি: সংগৃহীত।
মঙ্গলবার সকাল থেকে শহরের নানা প্রান্তে তল্লাশি অভিযান শুরু করল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের বেশ কয়েকটি দল ছড়িয়ে পড়ল কসবা, আলিপুর-সহ কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায়। কিসের সন্ধানে? ইডি সূত্রে খবর, শহরের একটি নামী এবং অভিজাত বেসরকারি স্কুলে অর্থ তছরুপের অভিযোগেই তদন্ত শুরু করেছে তারা। অভিযোগ স্কুলের অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকা সরানো হয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থার অ্যাকাউন্টে। আর সেই কাজে যুক্ত ছিলেন স্কুলেরই খোদ প্রশাসক।
বেসরকারি এবং খ্যাতনামা ওই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের যে প্রশাসকের বিরুদ্ধে তছরুপের মূল অভিযোগ, তাঁর নাম কৃষ্ণ দামানি। তাঁকে আগেই গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। সেই সময়েই দামানির সঙ্গে যুক্ত তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাড়ি, অফিস, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ। তারা জানিয়েছিল, আপাতত তাদের হাতে যে তথ্য এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে স্কুলের অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৯৩৭ লক্ষ টাকা একটি বেসরকারি সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। অর্থাৎ, প্রায় ১০ কোটি টাকা সরিয়েছেন দামানি। তবে কলকাতা পুলিশ সেই সময়েই জানিয়েছিল, ওই টাকার অঙ্ক আরও বাড়তে পারে। তবে এ বার ওই মামলার তদন্তে নামল ইডি।
মঙ্গলবার তাঁরা দামানির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, এমন বিভিন্ন সংস্থা এবং কিছু ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির বাড়িতে বা দফতরে তল্লাশি অভিযান চালায়। ইডি সূত্রে খবর, দামানির বিরুদ্ধে শুধু স্কুলের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরানোই নয়, স্কুলনির্মাণে দুর্নীতিরও খোঁজ মিলেছে। দামানি ছড়াও স্কুলের অছি পর্ষদের আরও কিছু সদস্য এর সঙ্গে জড়িত বলে এর আগে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল কলকাতা পুলিশ। ইডি খতিয়ে দেখছে তছরুপের টাকা কোন কোন অ্যাকাউন্টে ঘুরে কার হাতে পৌঁছেছে।