সোমবার রাতে আবারও ওই আবাসনে গেলেন তদন্তকারী অফিসাররা।
অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দু’টি আবাসনে কারা যাতায়াত করতেন, আপাতত সে দিকেই নজর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর। সে কারণে সোমবার সকালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার বেলঘরিয়ার ক্লাব টাউন হাইটসে হাজির হন ইডি আধিকারিকেরা। সংগ্রহ করেন রেজিস্টার এবং মাই গেট অ্যাপের তথ্য। এর পর সোমবার রাতে আবারও ওই আবাসনে গেলেন তদন্তকারী অফিসাররা।
বেলঘরিয়ার ওই আবাসন পরিচালন সমিতির সম্পাদক জানিয়েছেন, ইডি আধিকারিকদের হাতে রেজিস্টার এবং মাই গেট অ্যাপের তথ্য তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রযুক্তিগত কারণেই সিসিটিভি ফুটেজ তুলে দেওয়া যায়নি। মনে করা হচ্ছে, সিসিটিভি ফুটেজের তথ্য সংগ্রহ করার জন্যই দ্বিতীয় বার সেখানে এসেছেন আধিকারিকেরা।
শনিবার বেলঘরিয়ার এই অভিজাত আবাসনে এসেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। আবাসনে কারা কখন ঢুকছেন, বার হচ্ছেন, তা নথিভুক্ত করার রেজিস্টার, মাই গেট অ্যাপের তথ্য এবং সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে গিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, আবাসনে কারা কখন এলেন, গেলেন তা ওই মাই গেট অ্যাপেও নথিভুক্ত করা থাকে। এ সব তথ্য সোমবার তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন। শনিবারই টালিগঞ্জে অর্পিতার আবাসনেও একই তথ্য সংগ্রহের জন্য গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা।
গত ২৭ জুলাই, বুধবার বেলঘরিয়ার এই আবাসনে তল্লাশি অভিযানে নামে ইডি। সেখান থেকে উদ্ধার করে নগদ ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা ৩ অগস্ট পর্যন্ত থাকবেন ইডির হেফাজতে।