—প্রতীকী চিত্র।
হাওড়ার হাওয়ালাকাণ্ডে আরও এক জনকে গ্রেফতার করল ইডি। ধৃতের নাম বিরাজ পটেল। তিনি শৈলেশ পাণ্ডের ‘এজেন্ট’ ছিলেন বলে খবর। পালিয়ে বেড়ানো ওই ব্যক্তি দুবাই থেকে মুম্বই আসতেই পাকড়াও করে ইডি। সোমবার কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হলে তাঁকে ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
২০২২ সালের অক্টোবরে হাওড়ার ব্যবসায়ী তথা পেশায় চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট শৈলেশের হাওড়ার বাড়ি থেকে প্রায় আট কোটি টাকা উদ্ধার হয়। তাঁর ১৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস পান তদন্তকারীরা। মেলে ৫৭ কোটি টাকা লেনদেনের খবর। সব মিলিয়ে অন্তত তাঁর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার বেশি প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হন মোট চার জন। কয়েক মাস আগে নিম্ন আদালত থেকে জামিন পান শৈলেশ এবং তাঁর এক সঙ্গী। তবে কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে ওই মামলা হাতে নিয়ে ইডি আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। তখন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে দু’জনকেই ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন। বস্তুত, আদালত চত্বর থেকেই আবার গ্রেফতার হন শৈলেশ।
এ বার শৈলেশের এজেন্ট বিরাজকেও গ্রেফতার করল ইডি। আগেই বিরাজের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি হয়েছিল। ইডি সূত্রে খবর, সোমবার মুম্বই বিমানবন্দরে নামা মাত্রই বিরাজকে আটকানো হয়। খবর যায় ইডির কাছে। এর পর ইডি আধিকারিকরা তাঁকে গ্রেফতার করেন।
উল্লেখ্য, অনলাইনে বিদেশি মুদ্রার কেনাবেচা সংক্রান্ত পাঠ দেওয়ার পাশাপাশি আয়ের সুযোগের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতার অভিযোগ ওঠে শৈলেশ এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। ভুয়ো নথি দিয়ে অন্যের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে গোটা কারবার চালাচ্ছিলেন তাঁরা। হাওড়ার শিবপুরে কোটি কোটি নগদ উদ্ধারের প্রাথমিক তদন্তে নেমে ওই তথ্য হাতে পায় লালবাজার। যদিও ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই ফেরার হয়ে যান শৈলেশ। গত বছরের ২১ অক্টোবর পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি। গ্রেফতার হন শৈলেশের ভাই অরবিন্দ পাণ্ডে, রোহিত পাণ্ডে এবং আরও এক সহযোগী। কলকাতা পুলিশের ‘অ্যান্টি ব্যাঙ্ক ফ্রড সেকশন’ তাঁদের পাকড়াও করেন।