ফাইল চিত্র।
ভোটার তালিকায় স্বচ্ছতার অভাব নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। তার সত্যতা যাচাইয়ে বিধানসভা এলাকা পরিদর্শনে এলেন খোদ নির্বাচন কমিশনের অন্যতম সচিব রাকেশ কুমার।
মৃত ভোটারদের নাম তালিকা থেকে কাটা হচ্ছে না, জনসংখ্যার গড় বৃদ্ধির থেকে ভোটার বৃদ্ধির হার বেশি— এমন অভিযোগ জমা পড়েছিল কমিশনের কাছে। বৃহস্পতিবার উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের সঙ্গে দেখা করে তা জানান সিপিএম নেতৃত্ব। অভিযোগ করেন সিপিআই এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতারাও। একই অভিযোগে সরব হন বিজেপি নেতৃত্ব।
তার পরেই ওই সব অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে শুক্রবার মেটিয়াবুরুজ, সোনারপুর (উত্তর) এবং কসবা বিধানসভার কয়েকটি বুথে যান কমিশন-সচিব। বুথ লেভেল অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে ভোটার তালিকা তৈরির অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন তিনি। বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন।
সিপিএমের অভিযোগ ছিল, মেটিয়াবুরুজ বিধানসভায় ভোটার তালিকায় নাম বৃদ্ধির হার ১২.৯৫ শতাংশ, সোনারপুর (উত্তর) বিধানসভায় ভোটার বৃদ্ধির হার ১০.৫ শতাংশ। আরও দাবি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রায় প্রতিটি বিধানসভায় ২০১৬ সালের খসড়া ভোটার তালিকার চেয়ে ২০২০ সালের ভোটার তালিকায় নাম বৃদ্ধির হার প্রায় আট শতাংশ। যা রাজ্যের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের থেকে ছ’গুণেরও বেশি! তাঁরা বলছেন, ২০১৬ সালের তালিকা অনুযায়ী কসবা বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪৩। গত চার বছরে সেখানে ভোটার বেড়েছে ২৯ হাজার। অর্থাৎ, বৃদ্ধির হার প্রায় ১১ শতাংশ। অথচ, বুথের সংখ্যা বেড়েছে আটটি। ঘটনাচক্রে, এ দিন সেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর (উত্তর), মেটিয়াবুরুজ এবং কসবার কয়েকটি বুথে যান কমিশন-সচিব। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।