Court

E-Court: চার গার্ডকে নিয়ে শুরু হবে পরীক্ষামূলক ই-কোর্ট

শহরের চারটি ট্র্যাফিক গার্ডকে নিয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হবে ই-কোর্ট বা ভার্চুয়াল আদালত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২২ ০৭:২৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

শহরের চারটি ট্র্যাফিক গার্ডকে নিয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হবে ই-কোর্ট বা ভার্চুয়াল আদালত। সেই ট্র্যাফিক গার্ডগুলি হল: হেড কোয়ার্টার্স, জোড়াবাগান, সাউথ এবং হাওড়া ব্রিজ। লালবাজার সূত্রের খবর, দিনক্ষণ স্থির না হলেও ট্র্যাফিক মামলা সংক্রান্ত ওই ভার্চুয়াল আদালতের বিষয়ে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।

Advertisement

ওই আদালত চালু হলেই ট্র্যাফিকের বিভিন্ন মামলার জরিমানা সরাসরি অ্যাপের মাধ্যমে জমা দিতে পারবেন ট্র্যাফিক আইনভঙ্গকারী। তখন ট্র্যাফিক আইন ভাঙার পরে সার্জেন্টের কাছে থাকা এনআইসি ই-চালান থেকে ব্যক্তির কাছে জরিমানা সংক্রান্ত একটি লিঙ্ক যাবে। সেটিতে ক্লিক করলেই জরিমানা এবং আদালতের বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। তাতে ভার্চুয়াল আদালতের লিঙ্কও থাকবে। শুনানির দিন এবং কী ভাবে জরিমানা দেওয়া যাবে, সে সব কিছুর উল্লেখ থাকবে সেখানে। আইনভঙ্গকারী চাইলে ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশও নিতে পারবেন।

লালবাজার জানিয়েছে, জোড়াবাগান, সাউথ এবং হাওড়া ব্রিজ ট্র্যাফিক গার্ডের পাঁচ জন করে সার্জেন্টকে এনআইসি ই-চালান অ্যাপ দেওয়া হয়েছে। যাতে গোটা দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরা আইনভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে অনলাইনে ব্যবস্থা নিতে পারেন। শনিবার লালবাজারে ট্র্যাফিক সার্জেন্টদের একাংশের প্রশিক্ষণ হয়েছে। এ দিন ওই প্রশিক্ষণ হয়েছে ট্র্যাফিক কনস্টেবলদেরও।

Advertisement

বর্তমানে সমস্ত ট্র্যাফিক গার্ডের পুলিশকর্মী ও অফিসারেরা কলকাতা পুলিশের কেপিটি চালানেই ট্র্যাফিক আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করছেন। যত দিন না এনআইসি ই-চালান গোটা শহরে চালু হচ্ছে, তত দিন কেপিটি চালান চালু থাকবে বলে জানা গিয়েছে। লালবাজার সূত্রে জানানো হয়েছে, ই-কোর্ট বা ভার্চুয়াল ট্র্যাফিক আদালত চালু হলে আইনভঙ্গকারীর ‘ডিজিলকার’ বা ‘এমপরিবহণ’ অ্যাপে থাকা ডিজিটাল নথি যথা ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির বিভিন্ন বিষয় সংক্রান্ত শংসাপত্র বাজেয়াপ্তও করা যাবে। এত দিন যেটা করা সম্ভব ছিল না।

এক পুলিশকর্তা জানান, নতুন ব্যবস্থায় ডিজিটাল নথি বাজেয়াপ্ত করা যাবে এবং ভার্চুয়াল আদালতে জরিমানা দিয়ে তা ছাড়িয়ে আনাও যাবে। তবে গোটা শহরে কবে এই ব্যবস্থা চালু হবে, তা নিয়ে ট্র্যাফিক বিভাগ কিছু জানায়নি। কর্তারা আশা করছেন, পরবর্তী ধাপে শিয়ালদহ এবং আলিপুর আদালতেও ওই ভার্চুয়াল কোর্ট চালু হবে। তা হলেই শহরের ট্র্যাফিক মামলা এনআইসি ই-চালান পদ্ধতিতে পরিবর্তন করা সম্ভব হবে।

বিভিন্ন রাজ্যে আগেই এই ডিজিটাল নথি আদালতগ্রাহ্য হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। ফলে ই-কোর্ট এবং এনআইসি ই-চালান চালু হলে সহজেই জানা যাবে, চালক দেশের কোথাও ট্র্যাফিক আইন ভেঙেছেন কি না। অন্য জায়গার ট্র্যাফিক জরিমানাও এ রাজ্যে অ্যাপের মাধ্যমে দেওয়া যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement