Durgapur Bridge

শনিবার থেকে ৪ দিন বন্ধ দক্ষিণ কলকাতার দুর্গাপুর সেতু, কোন পথে যান চলাচল দেখে নিন

সেতুর ভার বহনের ক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২১ ১৬:৪৫
Share:

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বন্ধ থাকবে সেতু। —ফাইল চিত্র।

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ৪ দিন বন্ধ থাকছে দুর্গাপুর সেতু। আগামী ২৩ জানুয়ারি রাত ১০টা থেকে ২৬ জানুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত ওই সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকবে। ওই সময়ে অন্য রুট দিয়ে সমস্ত গাড়িকে ঘোরানো হবে। বৃহস্পতিবার কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)-র তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানানো হল। সেতুর ভার বহনের ক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

দুর্গাপুর সেতু বন্ধ থাকাকালীন কোন পথে বাস এবং গাড়ি চলাচল করবে, তা-ও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আলিপুর/ বর্ধমান রোড ঘুরিয়ে দক্ষিণমুখী গাড়িগুলিকে ডায়মন্ড হারবার রোড হয়ে জয় হিন্দ সেতুতে তোলা হবে। এম-১৪, এস২২, এস৩ ডব্লিউ এবং এসডি ৭৬ রুটের বাসগুলিকে আলিপুর/চেতলা সেন্ট্রাল রোড ক্রসিং থেকে ঘুরিয়ে বর্ধমান রোডের দিকে নিয়ে নিয়ে তোলা হবে জয় হিন্দ সেতুতে।

উত্তরমুখী গাড়িগুলিকে নিউ আলিপুর আইল্যান্ড থেকে ঘুরিয়ে টালিগঞ্জ সার্কুলার রোড হয়ে দেশপ্রাণ শাসমল রোডে দিয়ে নিয়ে আসা হবে। বিএল শাহ রোড এবং রায় বাহদুর ক্রসিং দিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। ৩-বি রুটের বাসগুলিকে দুর্গাপুর সেতুর পরিবর্তে টালিগঞ্জ ফাঁড়ি দিয়ে ঘোরানো হবে। দুর্গাপুর সেতুর উপর দিয়ে যে অটোগুলি উত্তরের দিকে চলে, সেগুলি বেইলি হয়ে আলিপুর পার্ক রোড ধরে রাজা সন্তোষ রোড থেকে চেতলা সেন্ট্রাল পর্যন্ত চলবে। দক্ষিণমুখী সমস্ত মালবাহী গাড়িগুলিকে ডায়মন্ড হারবার রোড হয়ে জয় হিন্দ সেতুতে তোলা হবে।

Advertisement

যে পথে যান চলাচল করবে ওই চার দিন। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

এই দুর্গাপুর সেতুর মাধ্যমেই দক্ষিণ কলকাতার সঙ্গে সংযোগ গোটা শহরের। মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পর ওই সেতুই ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সাধারণ মানুষের। দুর্গাপুর সেতু বন্ধ হলে, সে ক্ষেত্রে নবনির্মিত জয় হিন্দ সেতুই ফরসা হয়ে দাঁড়াবে। তবে ২৩ থেকে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে একমাত্র সোমবার ছাড়া বাকি দিনগুলিতে যেহেতু ছুটি, তাই তেমন যানজট তৈরি হবে না বলেই মনে করছে কেএমডিএ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement