পুজোর শহরে দুর্ঘটনা ঠেকাতে মণ্ডপে মণ্ডপে হোর্ডিং। জ্বলজ্বল করছে দমকলের কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর। কিন্তু ওই নম্বরে (১০১) বারবার ফোন করেও বেশির ভাগ সময়েই উত্তর মিলছে না। কারণ, দু’মাস আগে দমকলের সদর দফতরে বাজ পড়ে যে সার্ভার বিকল হয়ে গিয়েছে, তার মেরামতির কাজ শেষ হয়নি। ফলে কন্ট্রোল রুমের ফোন আংশিক অচল। তাই মাথায় হাত কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা অফিসার ও কর্মীদের।
গত ২৭ জুলাই দমকলের সদর কার্যালয়ে বাজ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কন্ট্রোল রুমের সার্ভার। তড়িঘড়ি সার্ভার মেরামতির কাজ শুরু হয়। কিন্তু দু’মাস পরেও কন্ট্রোল রুমের ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। দমকলের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘দুর্গাপুজো চলছে। সামনেই কালীপুজো। সে সময়ে অজস্র ফোন আসে কন্ট্রোল রুমে। এই অবস্থায় সেখানকার টেলিফোন পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়া চিন্তার কারণ তো বটেই।’’
দমকল দফতর সূত্রের খবর, তাদের কন্ট্রোল রুমে টেলিফোনের আটটি লাইন। কিন্তু বাজ পড়ার পরে এখনও চারটি অচল। বিকল ইন্টারনেট পরিষেবাও। এর ফলে বিভিন্ন কাজে সমস্যায় পড়ছেন দমকলের আধিকারিক ও কর্মীরাই।
দমকল সূত্রের খবর, শহরে আগুন লাগার ঘটনা জানাতে সাধারণ মানুষ সরাসরি ১০১ নম্বরে ফোন করেন। কিন্তু অভিযোগ, ২৭ জুলাই ওই ঘটনার পর থেকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ১০১-এ একাধিক বার ফোন করা হলেও বেজে যাচ্ছে। কখনও যোগাযোগ করা গেলেও কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে লাইন কেটে যাচ্ছে। শহরের অধিকাংশ পুজো মণ্ডপে দমকলের কন্ট্রোল রুমের (০৩৩-২২৫২১১৬৫) ফোন নম্বর দেওয়া আছে। কিন্তু অভিযোগ, সেই নম্বরও ঠিকমতো সক্রিয় নয়। দমকলের এক আধিকারিক জানান, সাধারণ মানুষ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে লাইন না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে স্থানীয় থানার দ্বারস্থ হচ্ছেন। দিনে বেশির ভাগ ফোন লালবাজারের ‘হট লাইন’ থেকে আসছে।
সমস্যা প্রসঙ্গে দমকলের ডিজি জগমোহন বলেন, ‘‘১০১ ডায়ালে বারবার ফোন করলেও উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না, এই অভিযোগ ঠিক নয়। বিএসএনএল-এর লাইনে বিভ্রাটের জন্য অস্থায়ী ভাবে এমন সমস্যা হতে পারে।’’ যদিও বিএসএনএল-এর ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার (এন্টালি) সুরেশ রায় বলেন, ‘‘বাজ পড়ার পরে পুলিশ ও দমকল কর্তাদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়। তখনই ওঁদের জানিয়েছিলাম, আমাদের তরফে কোনও সমস্যা নেই। দমকলের নিজস্ব সার্ভার সিস্টেম এখনও স্বাভাবিক না হওয়ায় এই সমস্যা হচ্ছে।’’