ফাইল চিত্র।
করোনা আবহে এ বারের পুজোয় বিসর্জনের শোভাযাত্রা করা যাবে না বলে জানিয়েছে লালবাজার। পুলিশ সূত্রের খবর, বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন পুজো কমিটিকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, বিসর্জনের আগে এলাকা পরিদর্শন না করিয়ে মণ্ডপ থেকে প্রতিমা সরাসরি ঘাটে নিয়ে যেতে হবে। ন্যূনতম কয়েকটি গাড়ি করেই প্রতিমা ঘাটে নিয়ে যাওয়া যাবে। তবে সেই সময়ে প্রতিমার সঙ্গে কত জন যেতে পারবেন, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানান, কোনও ভাবেই বিসর্জনের সময়ে একসঙ্গে বেশি লোক থাকতে দেওয়া হবে না। প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য কত জন সঙ্গে যেতে পারবেন তা পুজো কমিটিগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া কোনও অতিরিক্ত গাড়ি নেওয়া যাবে না। মাইক বা ডিজে বাজিয়ে শোভাযাত্রার অনুমতিও দেওয়া হবে না বলে তিনি জানিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কলকাতা পুলিশ এলাকায় মোট বারোয়ারি পুজোর মোট সংখ্যা আড়াই হাজার। বাড়ি এবং আবাসনের পুজো মিলিয়ে সেই সংখ্যা চার হাজারের কাছাকাছি। প্রশাসনের তরফে আগামী ২৬ থেকে ২৯ অক্টোবর, মোট চার দিন প্রতিমা বিসর্জনের দিন ধার্য করা হয়েছে। বিসর্জনের জন্য কলকাতা পুলিশ এলাকায় গঙ্গার ২৪টি ঘাট-সহ মোট ৭০টি ঘাট নির্দিষ্ট হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভিড়ের দৌড়ে তবু ক্ষান্ত দিচ্ছেন না পুজোকর্তারা
পুলিশ সূত্রের খবর, পুজোর অনুমতি দেওয়ার সময়েই পুজো কমিটিগুলির কাছে বিসর্জনের সম্ভাব্য দিন ও সময় জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেই দিন ও সময় মেনেই যাতে পুজো কমিটিগুলি তাদের প্রতিমা বিসর্জন দেয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ঘাটগুলিতে প্রতিমা বিসর্জনের সময়ে পুজো কমিটির তরফে চার জনকে রাখার অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। তবে তা চূড়ান্ত নয়।
আরও পড়ুন: আজ মহাসপ্তমী, রাজ্যে পুজো শুরু, তবে ভিড় নয়
কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ শহরতলির একটি থানার আধিকারিক জানান, একসঙ্গে সব পুজো কমিটি যাতে প্রতিমা নিয়ে ঘাটে উপস্থিত না হয়, তার জন্য পুজো কমিটিগুলিকে বলা হচ্ছে। লালবাজার জানিয়েছে, বিসর্জনের জন্য নির্দিষ্ট ওই চার দিন সব ঘাটেই পর্যাপ্ত বাহিনী থাকবে। সঙ্গে থাকবে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। গঙ্গার বাজে কদমতলা ঘাট ও রিভার ট্র্যাফিক পুলিশের জেটিতে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের দু’টি দল থাকবে। এ ছাড়া কলকাতা রিভার ট্র্যাফিক পুলিশের দল স্পিডবোটে নজরদারি চালাবে। প্রতিটি বোটে নেতৃত্বে থাকবেন এক জন করে অফিসার।