ছবি সংগৃহীত।
প্রতিমা একান্তই দেখতে হলে তা যত দূর সম্ভব নিরাপদে কী করে দেখবেন? বেশি ভিড়ের সংস্রব এড়িয়ে কী ভাবেই বা একটু ফাঁকায় ফাঁকায় সম্ভব হবে প্রতিমাদর্শন?
করোনা পরিস্থিতিতে এই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হয়েছিল পুজো কমিটিগুলি। কলকাতার প্রথম সারির সব বারোয়ারি পুজোর মঞ্চ, ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের তরফে এক ধরনের নির্দিষ্ট সময়ের ই-পাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পূজাইপাস.ইন (pujaepass.in) বলে একটি ওয়েবসাইট ও পূজাইপাস নামে অ্যাপে মিলবে এই ই-পাস। অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন দু’ধরনের স্মার্টফোনেই মিলবে অ্যাপটি। এই পাসের মাধ্যমে ৪১টি বড় পুজো দেখার সুযোগ থাকবে। এই উদ্যোগে সহায়তা করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা, দ্য টেলিগ্রাফ এবং ফ্রেন্ডস এফএম।
নাম ও ইমেল আইডি দিয়ে নিজের পরিচয় নথিভুক্ত করিয়ে ই-পাস জোগাড় করতে হবে। পঞ্চমী থেকে নবমীর মধ্যে কোনও এক দিন ঠাকুর দেখার নির্দিষ্ট সময় বেছে নেওয়া যেতে পারে। অবস্থা বুঝে কয়েকটি আলাদা নির্ধারিত সময়ের জন্য আলাদা আলাদা ই-পাস তৈরি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ফোনে কিউআর কোড হিসেবে পাসগুলি থাকবে। মণ্ডপে ফোন থেকে সেই ই-পাস দেখাতে হবে। পুজো কমিটিগুলির ফোরামের এক কর্তা বলেন, ‘‘ঠাকুর দেখার সময়ে ভিড় এড়ানোর রাস্তা হল আগেই পরিকল্পনা করে যাওয়া। দিনের যে কোনও সময়েই সীমিত সংখ্যায় ই-পাস মিলবে। এক জন বড় জোর ২০ জনকে নিয়ে মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন।’’ ই-পাসের মাধ্যমে কে, কখন ঠাকুর দেখতে যাচ্ছেন, তা আগে থেকে ঠিক হলে মণ্ডপে ভিড়েরও একটা আঁচ মিলবে। তাতে নিরাপত্তা-বিধি বজায় রাখারও সুবিধা হবে বলে মনে করছেন পুজোর উদ্যোক্তারা।