ছবি: পিটিআই।
পুজোর মধ্যে মেট্রো চলাচলের সময় আর বাড়ছে না। সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্তই মেট্রো চলবে। সপ্তমী থেকে দশমী, সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ট্রেন চলবে ২০ মিনিট অন্তর। সোমবার হাইকোর্টের রায়কে মর্যাদা দিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুজোয় শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবাটুকু দিতেই মেট্রো চালানো হবে। এ বিষয়ে মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে আমরা শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবাটুকুই দিতে চাই। কোনও ভাবেই ভিড়কে উৎসাহিত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।’’
পুজোয় কী ভাবে ট্রেন চালানো হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এ দিন বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনের সুপারদের নিয়ে বৈঠক হয় মেট্রো ভবনে। প্রাক্-করোনা পরিস্থিতির নির্ঘণ্ট মেনে কবি সুভাষ ও দমদম থেকে যথাক্রমে রাত ৯টা ৪৫ ও ৯টা ৫৫-য় অন্তিম মেট্রো ছাড়ার কথা ভাবা হয়েছিল। রাত ১১টা পর্যন্ত পরিষেবা চালু রাখার পক্ষেও ছিলেন কেউ কেউ। সেই মতো ই-পাসের স্লট বাড়ানোর কথাও ভাবা হচ্ছিল। তবে করোনা আবহে পরিষেবার সময় কতটা বাড়ানো উচিত, তা নিয়ে কর্মী ও আধিকারিকদের সংশয় ছিল। এ দিন আইএনটিটিইউসি প্রভাবিত ‘মেট্রো রেলওয়ে প্রগতিশীল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন’-এর তরফে পরিষেবার সময় বৃদ্ধির বিরোধিতা করে চিঠি দেওয়া হয় কর্তৃপক্ষকে। তাতে বলা হয়, মাঝরাত পর্যন্ত পরিষেবা চালু রাখলে কর্মীদের বাড়ি ফিরতে সমস্যা হবে। এ ছাড়া, কাগজের টিকিট বিক্রির পরিকল্পনার বিরোধিতাও করা হয়।
এখনও লোকাল ট্রেন চালু হয়নি। তাই বেশি রাত পর্যন্ত মেট্রো চললে যাত্রীদের মেট্রো-নির্ভরতা বাড়ত। তাতে মানুষের বেরোনোর প্রবণতাও বাড়ত। অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, মণ্ডপে ঘুরে বেড়ানো দর্শকদের বড় অংশই মেট্রোর যাত্রী। নতুন যাত্রীদের জন্য কাগজের টিকিটের ব্যবস্থাও রাখা হত। ছাপতে হত পুজো গাইড। এ বছর সেই সব প্রস্তুতির বালাই না থাকলেও পুজোর ভিড় সামলাতে বেশি সময় ধরে মেট্রো চালানোর প্রয়োজন হতে পারে বলে ভেবেছিলেন কর্তারা। তবে আদালতের রায় শোনার পরে পুজোয় আর পরিষেবার সময় বাড়ানো হবে না বলে ঠিক হয়। ষষ্ঠী পর্যন্ত সপ্তাহের কাজের দিনে ১৫২টি ট্রেন এবং পুজোর দিনগুলিতে (সপ্তমী থেকে দশমী) সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ৬৪টি ট্রেন চলবে।
আরও পড়ুন: পুজো প্যান্ডেলে দর্শক নয়, স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট
আরও পড়ুন: ত্রাতা আদালত, অতিমারির মহাবিপর্যয় থেকে রেহাই কলকাতা ও বাংলার