সব অব্যবহৃত জমির মালিককে চিহ্নিত করে নোটিস পাঠাচ্ছে উত্তর দমদমের পুরসভা। ফাইল ছবি।
ফাঁকা জমিতে অবাধে গজিয়ে উঠেছে ঝোপজঙ্গল। কোথাও আবার অব্যবহৃত জমির একাংশ স্থানীয়দের আবর্জনা ফেলার জায়গায় পরিণত হয়েছে। উত্তর দমদমের একাধিক এলাকায় এমন ছবি দেখা গিয়েছে। এই সমস্যার মোকাবিলায় এ বার সেই সব অব্যবহৃত জমির মালিককে চিহ্নিত করে নোটিস পাঠাচ্ছে পুরসভা। স্থির হয়েছে, ওই সব জমির জঙ্গল পরিষ্কার করানোর জন্য জমির মালিকদের বলা হবে। তবে সে কাজের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে পুরসভা। তার পরেও যদি দেখা যায় জমির মালিক সেই কাজ করেননি, সে ক্ষেত্রে সাফাই কাজে হাত লাগাবে খোদ পুরসভাই। আর সেই কাজ বাবদ খরচ আদায় করা হবে সংশ্লিষ্ট জমির মালিকের কাছ থেকে।
উত্তর দমদমের একাধিক এলাকায় এমন বহু অব্যবহৃত জমি পড়ে রয়েছে। পাশাপাশি, রেললাইন বরাবর সংলগ্ন জমির একাংশের অবস্থাও প্রায় একই রকম। স্থানীয় বাসিন্দা সৌমেন আদকের কথায়, ‘‘অনেকেই ফাঁকা জমিতে আবর্জনা ফেলেন। ডেঙ্গি প্রতিরোধে নিজের বাড়িঘর পরিচ্ছন্ন রাখতে পারলেই অনেকটা কাজ হয়। তাই শুধু প্রশাসনের উপরে দায় ঠেলা ঠিক নয়। বাসিন্দাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।’’
উত্তর দমদম পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ, তথ্য সংগ্রহ, সচেতনতার প্রচারের কাজ শুরু হয়েছে পুর এলাকায়। এর পাশাপাশি মশা নিয়ন্ত্রণে ওষুধ স্প্রে করা থেকে শুরু করে নিকাশি নালা সাফাইয়ের কাজও চলছে। একই সঙ্গে অব্যবহৃত বা পরিত্যক্ত ফাঁকা জমি, বাড়ি,গুদাম পরিষ্কার করা নিয়েওচিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্রুত সেই সব জমি জঞ্জাল মুক্ত করতে তাই এ বার নোটিস পাঠানো হচ্ছে জমির মালিকদের। তবে কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য জমির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এক পুর কর্তার কথায়, ‘‘বর্জ্য অপসারণে পুরসভা ইতিমধ্যেই সাফল্য পেয়েছে। জৈব এবং অজৈব আবর্জনা পৃথক ভাবে সংগ্রহ করা হয়। তা সত্ত্বেও স্থানীয়দের একাংশ ফাঁকা জমি, নিকাশি নালা এবং খালপাড়ে যত্রতত্র আবর্জনা ফেলছেন। এই প্রবণতা রুখতে সচেতনতার প্রচারে আরও জোর বাড়ানো হয়েছে।’’ তবে শুধু অব্যবহৃত জমিই নয়। আবাসিক স্থলে চৌবাচ্চা, ডোবা থেকে শুরু করে জল জমার আশঙ্কা রয়েছে, এমন যে কোনও ক্ষেত্রেই বাড়ি মালিকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথা জানাচ্ছে পুরসভা।
উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান,মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেই সূত্রে পরিত্যক্ত বা অব্যবহৃত জমির মালিকদের দ্রুত তাঁদের নিজস্ব জায়গা সাফাই করতে নোটিস পাঠানো হচ্ছে।