প্রতীকী ছবি।
হায়দরাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে দেশ জুড়ে। কিন্তু তাঁর নিজের সঙ্গেই যে অনভিপ্রেত কিছু ঘটতে পারে, তা ভাবনার বাইরে ছিল মহিলার। তবে মার্শাল আর্টসের প্রশিক্ষণ নেওয়া ওই মহিলা সাহস হারাননি। সাহসে ভর করেই ইভটিজারদের গাড়ি তাড়া করে সেটির ছবি তোলেন। এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তার পরে অভিযোগ করেন পুলিশে। এতেই কাজ হয়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই গাড়ির চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
বুধবার রাত পৌনে ন’টা থেকে ন’টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে উল্টোডাঙা এবং সল্টলেক পিএনবি-র মধ্যে। ব্যবসার কাজ সেরে শোভাবাজার থেকে গাড়ি চালিয়ে সল্টলেকের বাড়িতে ফিরছিলেন মহিলা। উল্টোডাঙা সেতুর নীচে আচমকা তাঁর গাড়িকে ওভারটেক করতে যায় আর একটি গাড়ি। কিন্তু মহিলা তাকে পথ ছাড়েননি।
এর পরে সমানে হর্ন বাজিয়ে, কখনও পাশ থেকে ওভারটেক করার চেষ্টা চালিয়ে যায় গাড়িটি। সল্টলেকে ঢোকার মুখে সেটি মহিলার গাড়ির কাছে চলে আসে। অভিযোগ, চালকের পাশে বসা এক যুবক অশোভন অঙ্গভঙ্গি করে গালিগালাজ করেন মহিলাকে। এর পরে তীব্র গতিতে ওভারটেক করে গাড়িটি এগোতে থাকে। অভিযোগকারিণীও গাড়ির গতিবেগ বাড়িয়ে ওই গাড়িটির কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেন। পিএনবি মোড়ে সিগন্যালে থেমে যায় গাড়িটি। তখন পিছনে গাড়ি থামিয়ে মহিলা ওই গাড়িটির নম্বর প্লেটের ছবি তুলে নেন। কিছু ক্ষণ পরে সিগন্যাল সবুজ হলে গাড়িটি পিএনবি মোড় থেকে বাঁ দিকে ঘুরে যায়।
তদন্তে নেমে গাড়ির নম্বরের সূত্র ধরে চালককে আটক করে বিধাননগর পুলিশ। অভিযোগকারিণী বলেন, ‘‘কমবয়সি কিছু ছেলে আমার সঙ্গে যে এমন আচরণ করতে পারে, সেটা ভেবেই স্তম্ভিত হয়ে যাচ্ছি। কিন্তু মার্শাল আর্টসের শিক্ষাই আমাকে সাহস দিল।’’ তাঁর কথায়, ‘‘সবাই সাহস পান না। কিন্তু এই ধরনের আচরণের প্রতিবাদ করা প্রয়োজন।’’