প্রতীকী ছবি।
সোনা ও মাদকের মতো বিদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকছে সিগারেটও। ভারতীয় সিগারেটের প্যাকেটে বাধ্যতামূলক ভাবে বড় করে ক্যানসার আক্রান্তের ছবি থাকতে হয়। কিন্তু, বিদেশ থেকে আসা ওই সিগারেটের প্যাকেটে তা থাকছে না। তা ছাড়া বিদেশ থেকে আইনি পথে সিগারেট আনলে যত টাকা শুল্ক হিসেবে দিতে হয়, সেটাও ফাঁকি দিচ্ছেন পাচারকারীরা।
গত সোমবার বড়বাজারের এক গুদামে হানা দিয়ে ৫ লক্ষ ১২ হাজার ২০০টি সিগারেট পেয়েছেন ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)-এর অফিসারেরা। ডিআরআই সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত হওয়া ওই সিগারেটের বাজারদর প্রায় ৫১ লক্ষ টাকা। সিগারেট পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে রাহুল সিংহ এবং বিকাশ জৈন নামে দুই যুবককে।
ডিআরআইয়ের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছেন, প্রধানত চিন, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া এবং মায়ানমার থেকে ওই সিগারেট মায়ানমার-মণিপুরের ‘মোরে’ সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকছে। রবিবারই শিলিগুড়ি শহরের বাইরে একটি লরি আটক করা হয়েছিল, যেখানে ছিল ১০ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪০০টি সিগারেট। যার বাজারদর এক কোটি টাকার কাছাকাছি। গ্রেফতার করা হয় লরিচালক শঙ্কর যাদবকে। শঙ্কর জানান, তিনি গুয়াহাটি থেকে ওই সিগারেট কলকাতায় নিয়ে আসছিলেন। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, সড়কপথে সেই সিগারেট আনা হচ্ছিল বড়বাজারে, রাহুল-বিকাশদের কাছেই।
ডিআরআই জানিয়েছে, মায়ানমার থেকে ভারতে আসা সিগারেট প্রথমে গুয়াহাটিতে মজুত করা হচ্ছে। সড়কপথে তা কলকাতায় এনে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে দেশের অন্যত্র। শঙ্করের থেকে তথ্য পেয়ে মঙ্গলবার গুয়াহাটির একটি গুদামে হানা দিয়ে ৭২ হাজার সিগারেট বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে আটক হয়েছে ১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকার সিগারেট।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।