Drainage system improvement works

সল্টলেকে নিকাশি ব্যবস্থার খোলনলচে বদলাচ্ছে, ১০ কোটির প্রকল্পের কাজ শুরু

পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, সল্টলেক তৈরি হওয়ার পর থেকে সেখানকার নিকাশি ব্যবস্থা পুরনো পাম্পিং স্টেশনগুলিরউপরেই নির্ভরশীল ছিল।

Advertisement

প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২৩ ০৬:৫৯
Share:

সল্টলেকের নিকাশি ব্যবস্থা কাজ শুরু। — ফাইল চিত্র।

সল্টলেকের নিকাশি ব্যবস্থার খোলনলচে বদলাতে আনুমানিক ১০ কোটি টাকার প্রকল্প মঞ্জুর করেছে নগরোন্নয়ন দফতর। যার জেরে বদলে ফেলা হচ্ছে সল্টলেকের সমস্ত জল নিকাশির পাম্পিং স্টেশন। আগামী বর্ষার আগেই সেই সব পাম্পিং স্টেশন চালু করে দিতে কাজ চলছে জোরকদমে। বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, ওই সমস্ত পাম্পিংস্টেশনের এত দিন বর্জ্য জল বহনের যে ক্ষমতা ছিল, নতুন প্রকল্পে তা অনেক গুণ বেড়ে যাবে। ফলে অতি দ্রুত বৃষ্টির জল নামাতে সুবিধা হবে।

Advertisement

পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, সল্টলেক তৈরি হওয়ার পর থেকে সেখানকার নিকাশি ব্যবস্থা পুরনো পাম্পিং স্টেশনগুলিরউপরেই নির্ভরশীল ছিল। নতুন করে কোনও পাম্পিং স্টেশন সেখানে তৈরি হয়নি। যে সময়ে সল্টলেক তৈরি হয়েছিল, তখনকার জল বহনের প্রয়োজন অনুযায়ীই ওই সব পাম্পিং স্টেশন তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তুসে সময়ের তুলনায় বর্তমানে জনবসতি বেড়েছে কয়েক গুণ। তা ছাড়া, দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে কাজ করার পরে পাম্পিং স্টেশনগুলির কার্যক্ষমতাও কমে এসেছে। ফলে পুর নিকাশি বিভাগের তরফেনগরোন্নয়ন দফতরের কাছে সল্টলেকের পাম্পিং স্টেশনগুলির মানোন্নয়নের জন্য প্রকল্প পাঠানো হয়েছিল। যা মঞ্জুর করেছে অর্থ দফতর।

বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (নিকাশি) দেবরাজ চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘সল্টলেকের মতোউন্নত শহরের নিকাশি ব্যবস্থা বর্তমান সময়ে যতটা উন্নত মানের হওয়া উচিত, তা-ই করা হচ্ছে। নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে বর্জ্য জলের পাম্পিং স্টেশনগুলিকে উন্নত করার জন্য আবেদন করেছিলাম। দফতর আনুমানিক ১০ কোটি টাকা দিয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব পাম্পিং স্টেশনগুলি চালু করার চেষ্টা চলছে।’’

Advertisement

পুর কর্তৃপক্ষ জানান, বর্জ্য জল টানার জন্য গোটা সল্টলেকে মোট আটটি পাম্পিং স্টেশন রয়েছে।সেগুলি উন্নত করার কাজ প্রায় শেষের পথে। সব ঠিক থাকলে চলতি মাসের শেষেই সেগুলি চালু করে দেওয়া সম্ভব হবে। ওই সব পাম্পিং স্টেশন এলাকার নিকাশি জলকে কেষ্টপুর খালের নীচ দিয়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে ঠেলে দেয় প্রফুল্ল কানন বর্জ্যবাহী জল নিকাশির পাম্পিং স্টেশনের দিকে। সেখান থেকে তা চলে যায় বাগজোলা খালে। সল্টলেকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাটির নীচ দিয়ে বর্জ্যবাহী জল যাওয়ার পাইপলাইনগুলিও পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে বলে পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত দু’-তিন বছরে কেষ্টপুর ও ইস্টার্ন ড্রেনেজ খাল দু’টি বর্ষায় ভর্তি থাকায় সল্টলেকের বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় ভারী বৃষ্টিতে জল দাঁড়াচ্ছিল। এমনকি, এক নম্বর সেক্টরে আবাসিক বাড়ির একতলাতেও জল ঢুকে পড়ছিল। এ বার ওই দু’টি খালই সংস্কার করেছে সেচ ও নগরোন্নয়ন দফতর। সেই সঙ্গে বর্ষার আগে বদলে ফেলা হচ্ছে সল্টলেকের নিকাশি পাম্পিং স্টেশনগুলিও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement