ক্রসপ্যাথিকে স্বীকৃতি দিতে চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কি আদতে ভুয়ো ডাক্তারদেরই বৈধতা গিতে চাইছে? বুধবার এই অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের বিধায়ক এবং রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি নির্মল মাজি। তাঁর মতে, গত বছর রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এবং রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল বিভিন্ন জায়গায় ভুয়ো চিকিৎসক চিহ্নিত করেছে। তাঁদের অনেকেই ক্রসপ্যাথি করতেন। এখন যদি কেন্দ্র সেটা স্বীকৃতি দেয় তা হলে ওই ভুয়ো ডাক্তারদের স্বীকৃতি দেওয়া হবে। এ দিন সল্টলেকে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের দফতরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে নির্মলবাবুর অভিযোগ, এর জেরে ভুয়ো চিকিৎসক চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া বাধা পাবে।
যদিও চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ তাঁর এই দাবি মানতে চাননি। তাঁদের বক্তব্য, একটি কোর্স করিয়ে তবেই আয়ুর্বেদ ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের কিছু কিছু অ্যালোপ্যাথি ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লেখার অধিকার মিলবে। তার সঙ্গে ভুয়ো ডাক্তারির কোনও যোগ নেই।
এ দিনের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক শান্তনু সেন। তিনি বলেন, ‘‘বিকল্প ধারার চিকিৎসা পদ্ধতির প্রতি সম্মান রয়েছে। কিন্তু আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান মেনে চিকিৎসা করার জন্য ন্যূনতম এমবিবিএস পাশ করতে হয়।’’