আলিপুর সংশোধনাগার। ফাইল চিত্র।
বন্দিদশা কাটানোর পরেও সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে চান তাঁরা। অথচ তাতে সামাজিক অবহেলার সঙ্গেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় অর্থাভাব। এ বার সেই বাধা কাটাতে বন্দিদের পাশে দাঁড়াতে চাইছে রাজ্য কারিগরি শিক্ষা দফতর। তাই আলিপুর মহিলা সংশোধনাগার বন্দিদের ‘ডোমেস্টিক ওয়ার্ক অ্যান্ড কুক’-এর প্রশিক্ষণ দিতে উদ্যোগী হয়েছে তারা। পরবর্তী সময়ে বয়স্ক এবং শিশুদের দেখাশোনার প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে কারিগরি শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর। আজ, সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সূচনা হবে।
উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের অধীনে শুরুতে ঘর সাজানো এবং রান্নার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যসম্পন্ন ভাবে রান্না ও পরিবেশন করার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। সফল ভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করে এর জন্য শংসাপত্রও পাবেন বন্দিরা। যা দেখিয়ে পরে চাকরি পেতে সুবিধে হবে বলেই মত কারিগরি শিক্ষা দফতরের কর্তাদের। এই প্রশিক্ষণের আয়োজকদের মতে, শংসাপত্রটি রাজ্য সরকারের দেওয়া বলে তার বিশেষ মূল্য থাকবে বলেই দফতরের মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর বক্তব্য, ‘‘এখন জেলকে সংশোধনাগার বলা হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে তাঁরা যেন একটা অর্থপূর্ণ কর্মসংস্থানের সুযোগ পান, সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য।’’
এর আগে দমদম সংশোধনাগারে ইলেকট্রিশিয়ানের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল কারিগরি শিক্ষা দফতর। পরবর্তী কালে এই ধরনের প্রশিক্ষণ রাজ্যের অন্য সংশোধনাগারে দিতে চান বলে জানালেন পূর্ণেন্দুবাবু। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এ বিষয়ে সংশোধনাগার মন্ত্রী এবং আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরাও আগ্রহ দেখিয়েছেন।’’
এরই সঙ্গে কারা দফতরের কর্তাদের আশা, রান্নাবন্না, ঘর গোছানোর মতো সৃজনশীল কাজের মধ্যে দিন কাটালে বন্দিদের মনও কিছুটা ভাল থাকবে। যার ফলে কমতে পারে জেল থেকে পালানোর প্রবণতাও।