ফাইল চিত্র।
দিনের ব্যস্ত সময়ে ফের ভোগাল শহরতলির লোকাল ট্রেন। সিগন্যাল বিগড়ে বৃহস্পতিবার সকালে টানা দু’ঘণ্টা শিয়ালদহ মেন শাখা র টিটাগড় স্টেশনে আপ ও ডাউন লাইনে বন্ধ থাকল ট্রেন। চরম বিপাকে পড়লেন নিত্যযাত্রী ও স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা। বিভ্রাটের জেরে দু’জোড়া ইএমইউ লোকাল বাতিল করতে হয়। অন্য কিছু ট্রেনও দেরিতে চলে। দু’ঘণ্টার পরে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও তা স্বাভাবিক হতে গড়িয়ে যায় আরও সময়। বিভ্রাটের প্রভাব পড়ে বি টি রোডেও। বাস ও অন্য যানবাহনে ভিড়ের চাপে নাকাল হন যাত্রীরা। যদিও রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, ট্রেন পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। পেপার সিগন্যাল দিয়ে অত্যন্ত ধীর গতিতে ট্রেন চালানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকাল দশটা নাগাদ বিপত্তির শুরু। আপ এবং ডাউন লাইনে ট্রেন দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও সিগন্যাল বিভ্রাটের জেরে তাদের সবুজ সঙ্কেত দেওয়া যায়নি। এর ফলে টিটাগড়ের আগে-পরে সব স্টেশনে ডাউন ও আপ লাইনে পরপর ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। কেন ট্রেন বন্ধ রয়েছে, বহুক্ষণ তার উত্তর পাননি যাত্রীরা। উত্তম সরকার নামে এক যাত্রী বলেন, ‘‘আমরা বারবার রেলকর্মীদের জিজ্ঞাসা করেও কোনও উত্তর পাইনি। কত ক্ষণে ট্রেন চলাচল শুরু হবে, তা-ও আমাদের কেউ জানাননি। মাইকেও কোনও ঘোষণা করা হয়নি।” অভিযোগ, তার ফলে যাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তি আরও বাড়ে।
ট্রেন বন্ধ থাকায় ব্যারাকপুর, টিটাগড়, খড়দহ, সোদপুর ও বেলঘরিয়ার যাত্রীরা বি টি রোড ধরে কর্মস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানেও তাঁরা বিপাকে পড়েন। বিশেষত বাসে ভিড়ের চাপে হাঁসফাঁস অবস্থা হয় যাত্রীদের। অভিযোগ, এই সুযোগে কলকাতা যাওয়ার জন্য দ্বিগুণ ভাড়া হাঁকেন ট্যাক্সিচালকেরা। রেলের অবশ্য দাবি, স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা বিগড়োনোর ফলে ট্রেন চলাচলের গতি কমে যায়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তা মেরামত করা হয়। শেষে ১২টা ১৮ মিনিট থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় পরিষেবা।