রাহুল আহমেদ
অসমের দিসপুর থেকে হারিয়ে যাওয়া কিশোর উদ্ধার হল কলকাতা বিমানবন্দরে। বুধবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরের বাবা-মা কলকাতায় এসে তাকে নিয়ে গেছেন। জেরার মুখে ওই কিশোর ১৪ বছরের রাহুল আহমেদ কলকাতা বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীদের জানিয়েছে, তাকে কলকাতায় চাকরি দেবেন বলে এক ব্যক্তি গুয়াহাটি থেকে বিমানে মঙ্গলবার কলকাতায় নিয়ে আসেন। কিন্তু কলকাতা বিমানবন্দরে ফেলে রেখেই ওই ব্যক্তি পালিয়ে যায়। কেন তাকে ফেলে
ওই ব্যক্তি পালিয়ে গেল, তা রাহুল জানে না বলে দাবি তার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সে বিমানবন্দর থেকে বাসে চেপে হাওড়া স্টেশনে যায়। সেখানেই রাত কাটায়। বুধবার সকালে বাস ধরে ফিরে আসে কলকাতা বিমানবন্দরে।
বুধবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ পিঠে ব্যাগ নিয়ে রাহুলকে ইতস্তত ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয় বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ) রক্ষীদের। কলকাতা বিমানবন্দরের চার নম্বর গেটের বাইরে থেকে রাহুলকে ধরে নিয়ে আসা হয় সিআইএসএফ-এর দফতরে। দেখা যায়, তার কাছে কোনও টাকাকড়ি নেই। দীর্ঘক্ষণ তার সঙ্গে কথা বলে পালিয়ে আসার খবর জানতে পারেন অফিসারেরা। রাহুলের কাছ থেকে তার স্কুলের প্রিন্সিপালের ফোন নম্বর নিয়ে কলকাতা থেকে ফোন করা হয় তাঁকে। প্রিন্সিপাল জানান, মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকে রাহুলকে না পেয়ে দিসপুরের ভগীরথপুর থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করেন রাহুলের বাবা রহিম আহমেদ। এর পরে রাহুলের কাছ থেকে তার বাবা-মায়ের নম্বর নিয়ে তাঁদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন সিআইএসএফ অফিসারেরা।
বুধবারই রাহুলকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। পুলিশ অফিসারেরাও রাহুলকে জেরা করেন। প্রাথমিক ভাবে অফিসারদের অনুমান, রাহুলকে পাচার করার জন্যই কোনও ব্যক্তি গুয়াহাটি থেকে কলকাতায় নিয়ে আসেন। তবে একা পালিয়ে এসে, এখন তাকে নিয়ে আসার গল্পও বানাতে পারে ওই কিশোর বলে পুলিশের সন্দেহ।