ইডির রেফারেন্স দিয়ে ডিএলবি-র তরফে 'মোস্ট আর্জেন্ট' উল্লেখ করে রাজ্যের ১২১টি পুরসভার কাছে শুক্রবার ইমেল পাঠানো হয়েছে। ফাইল চিত্র।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অয়ন শীল। তাঁর সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে পুর নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য উঠে এসেছিল তদন্তকারীদের হাতে। সেই সূত্রেই রাজ্যের সমস্ত পুরসভার থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল ডিরেক্টরেট অব লোকাল বডিজ (ডিএলবি)। জানতে চাওয়া হয়েছে, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারির পর থেকে কী কী পদে, কত জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। তাতেই অধিকাংশ পুরসভার অন্দরে আলোড়ন শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
জানা যাচ্ছে, ইডির রেফারেন্স দিয়ে ডিএলবি-র তরফে 'মোস্ট আর্জেন্ট' উল্লেখ করে রাজ্যের ১২১টি পুরসভার কাছে শুক্রবার ইমেল পাঠানো হয়েছে। নির্দিষ্ট ছকে পুরসভার নাম, নিয়োগ হয়ে থাকলে সেই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির নম্বর ও তারিখ, কোন পদে কত জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল ও তাঁদের নাম-ঠিকানা-সহ কোন এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছিল, সে সবই উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। পরীক্ষার ওএমআর শিটের সফ্ট কপিও সোমবারের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছিল ওই ইমেলে।
আবার, ২০১২ এবং ২০১৭ সালে সংশ্লিষ্ট পুরসভার পুরপ্রধানদের এবং কার্যনির্বাহী আধিকারিকদের নাম-ঠিকানাও চেয়ে পাঠানো হয়েছে। অয়নের অফিস থেকে পাওয়া তালিকায় বরাহনগর, কামারহাটি, পানিহাটি, টিটাগড়, দক্ষিণ দমদম, উত্তর দমদম, দমদম-সহ রাজ্যের প্রায় ৬০টি পুরসভার নাম উঠে ছিল। সূত্রের খবর, অয়নের সংস্থা এবিএস ইনফ্রোজ়োন প্রাইভেট লিমিটেডের মাধ্যমে ওই সময়কালে বরাহনগর পুরসভায় ১৭০ জন, কামারহাটি পুরসভায় তিন বারে ৩০৩ জন, টিটাগড় পুরসভায় ২২১ জন, হালিশহর পুরসভায় ৩৯ জনের নিয়োগ হয়েছিল। পানিহাটিতে অয়নের সংস্থা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করলেও মাঝপথে তা বন্ধ হয়ে যায়। অন্য দিকে, খড়দহ পুরসভায় পরবর্তী সময়ে ১৯ জন সাফাইকর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে। কামারহাটির পুরপ্রধান গোপাল সাহা বলেন, ‘‘ডিএলবি থেকে নিয়োগ-তথ্য জানতে চেয়ে ইমেল এসেছে। উত্তর দিয়েছি। সব নিয়ম মেনেই নিয়োগ হয়েছে। তাই তদন্তের মুখোমুখি হতে রাজি।’’