শিক্ষকেরা আন্দোলন করলে ভবিষ্যত প্রজন্মকে শিক্ষিত করবেন কী করে,প্রশ্ন দিলীপের
বিধানসভা চত্বরে শিক্ষিকাদের বিক্ষোভ প্রদর্শন নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষকরা এখন প্রতিনিয়ত আন্দোলনে রয়েছেন। তাদের দাবি নিয়ে রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন। এটা আমাদের খুবই দুর্ভাগ্য যে যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্কুলে গিয়ে শিক্ষিত করবেন তাঁরা রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন।’’ একই সঙ্গে দিলীপের প্রশ্ন, ‘‘শিক্ষক-শিক্ষিকারা আন্দোলন করলে ভবিষ্যত প্রজন্মকে শিক্ষিত করবেন কী করে?’’
বুধবার কলকাতা বিধানসভার গেটের বাইরে তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন ‘শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ’-এর সদস্যরা। সমকাজে সমান বেতন-সহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানানো হলেও তাতে সরকার কর্ণপাত করছে না বলে অভিযোগ তাঁদের। বুধবার বিধানসভার ৬ নম্বর গেটের বাইরে বিক্ষোভ-স্লোগানের পাশাপাশি গেটের উপরেও উঠে পড়েন কয়েক জন শিক্ষিকা। দীর্ঘক্ষণ গেটের উপরেই দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। নীচেও চলতে থাকে বিক্ষোভ-আন্দোলন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে দিলীপ বলেন, ‘‘রাজ্যে একটা ভয়ঙ্কর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তাতে কেউ সুখী নয়। কেউ কেউ নিজেকে বঞ্চিত বলে মনে করছেন আর আন্দোলনের পথে নামছেন। সরকার আন্দোলন ঠেকাতে ব্যস্ত, উন্নয়ন আর হচ্ছে না। সরকারের উচিত শিক্ষকদের আন্দোলন ও তাঁদের দাবি সহানুভুতির সঙ্গে বিবেচনা করা।’’ বুধবার শালবনী থানার গোয়ালডিহা গ্রামে একটি মেলার উদ্বোধন করতে এসে দিলীপ অন্যান্য ইস্যুতেও রাজ্য সরকারের নিন্দা করেন।
দিলীপ দাবি করেন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তৃণমূলের লোকেরা মারা যাচ্ছে আর দোষ চাপানো হচ্ছে বিজেপি-র উপরে। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাই পুলিশ তদন্ত করে রাজনীতির রং না দেখে অপরাধীর শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করুক।’’ রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিরও নিন্দা করেন দিলীপ। তাঁর দাবি, ‘‘স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে রাজ্যবাসীকে ধোকা দেওয়া হচ্ছে। এখনও অনেকে কার্ড পাননি আর যারা কার্ড পেয়েছেন তাঁরা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেননি। খুব বেশি ২০ শতাংশ মানুষ ছোটখাটো রোগের ক্ষেত্রে এই সুযোগ নিয়েছে। বাকিরা কোনও সুযোগ পাননি, তারা জানেন যে কোনও লাভ নেই। তারা চাইছেন কেন্দ্রের আয়ুষ্মান যোজনা কার্ড চালু হোক।’’