রুদ্ধ-পথ: ঢাকুরিয়া সেতু বন্ধ করে চলছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা। শনিবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
বছর চারেক আগে ঢাকুরিয়া সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডের ইঁদুরের গর্ত দেখতে পাওয়ার পরে রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। সে সময়ে জরুরি ভিত্তিতে ওই গর্ত সারিয়ে সমস্যার সমাধান করা হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু সেতুলটির কাঠামো কেমন আছে সেই পরীক্ষা করা হয়নি। শুক্রবার রাত থেকে প্রায় ৫৬ ঘণ্টা ঢাকুরিয়া সেতু বন্ধ রেখে সেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শুরু করলেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। এ জন্য সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ওই সেতু।
কেএমডিএ-র সেতু বিশেষজ্ঞ কমিটির এক সদস্য জানান, এই সেতুটির বয়স ৫০ বছরেরও বেশি। শহর এবং শহরতলিতে কেএমডিএ নির্মিত সব ক’টি সেতু ও উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা আগেই বলা হয়েছিল। সেই মতো ওই সেতুর পরীক্ষা করা হচ্ছে।
কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানান, এই সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডের ইঁটের গাঁথনির মধ্যে ইঁদুরের গর্ত দেখা যাওয়ায় সে সময়ে আতঙ্ক তৈরি হয়। রাজ্যের নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাইটস-কে দিয়ে ওই উড়ালপুলের সমীক্ষা করান। পুরনো পদ্ধতিতে নির্মিত ওই উড়ালপুলের সামগ্রিক কাঠামো বর্তমানে ঠিক থাকলেও ভবিষ্যতে তাতে প্রযুক্তিগত সমস্যা হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন রাইটসের বিশেষজ্ঞেরা।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, এই উড়ালপুলটি তৈরি করেছিল কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদ (কেআইটি)। উড়ালপুলটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও ছিল ওই সংস্থার কাঁধেই। পরে, কেআইটি কেএমডিএ-র অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাওয়ার ফলে আপাতত কেএমডিএ কর্তৃপক্ষই ওই উড়ালপুলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছেন।