রবীন্দ্র সরোবরে বিধি ভেঙে ছট, রিপোর্ট তলব

পরিবেশ আদালতের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার বিকেল এবং শুক্রবার সকালে চৈতি ছটপুজো উপলক্ষে সরবোরে অনেকে ঢোকেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৯ ০২:১৫
Share:

রবীন্দ্র সরোবরে চলছে চৈতি ছটপুজো। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

রবীন্দ্র সরোবরে চৈতি ছটপুজোয় বিধিভঙ্গের অভিযোগে পুলিশের কাছ থেকে সবিস্তার রিপোর্ট চাইলেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

পরিবেশ আদালতের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার বিকেল এবং শুক্রবার সকালে চৈতি ছটপুজো উপলক্ষে সরবোরে অনেকে ঢোকেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার ভোরে সরোবরের পাড়ে আগুন জ্বালিয়ে পুজোর যজ্ঞ হয়েছে বলে অভিযোগ প্রাতর্ভ্রমণকারী ও পরিবেশকর্মীদের। তাঁদের অভিযোগ, সরোবরের জলে তেল, ঘি এবং দুধ ফেলা হয়েছে। কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানান, সরোবরের ভিতরে ঢুকে কেউ পুজো করতে পারেন না বলে পুলিশকে আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাই তাদের কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সরোবরের জল দূষিত হয়েছে কি না, তা দেখতে জলের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। তবে এই দু’দিন কোনও বাজি বা বাজনার শব্দ হয়নি বলে কেএমডিএ-র দাবি। তা ছাড়া, আগের তুলনায় এ বার মানুষের সংখ্যা কম ছিল বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। এ দিন পুজোর পরেই কেএমডিএ সরোবরের জল থেকে ফুল-বেলপাতা তুলে জল পরিষ্কার করে। কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানান, বৃহস্পতিবার রবীন্দ্র সরোবরের সমস্ত জায়াগায় না হলেও একাংশে প্রবেশ করে নিয়মবিধি না মেনে পুজো করেছেন। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে সরোবর চত্বরে নজরদারি নিয়ে।

পুলিশ ছাড়াও সরোবরের সব ক’টি গেটেই কেএমডিএ-র নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। সেই রক্ষীরাও চৈতি ছটপুজো করতে আসা মানুষদের আটকাতে বেশি সচেষ্ট ছিলেন না বলে অভিযোগ। কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, এই ব্যাপারেও তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রবীন্দ্র সরোবর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কলকাতা হাইকোর্ট মনোনীত মনিটারিং কমিটির সদস্য সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সরোবরে কোনও ভাবেই ছটপুজো করা যাবে না। এতে দুধ বা ঘিয়ের দ্রবণ জলে ঢেলে পুজো করতে হয়। তাতে দূষণ ছড়ায়। আাগমী দু’-এক মাসের মধ্যেই সরোবরে ছট নিয়ে আদালতের যে শুনানি রয়েছে, সেখানে এই বিষয়টিও তোলা হবে।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

চৈতি ছট কী? রাষ্ট্রীয় বিহারি সমাজের পক্ষ থেকে সভাপতি মণিপ্রসাদ সিংহ জানান, চৈত্র মাসে যে নবরাত্রি হয়, সেই সময়ে এই ছটপুজো হয় বলে এটি চৈতি ছটপুজো বলে পরিচিত। এ ছাড়া, কার্তিক মাসেও ছটপুজো হয়। ছটপুজোর নিয়ম সব ক্ষেত্রেই এক। কিন্তু গরমের কারণে চৈতি ছটপুজো অনেক কম লোকে করেন বলে তাঁর দাবি। তবে সরোবরে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ছটপুজোর ব্যাপারে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement