ডানলপের কাছে ভয়াবহ আগুন, ছড়িয়েছে আতঙ্ক

শনিবার সকালে ডানলপের সকেটনগরের একটি প্লাস্টিকের গুদামে আগুন লাগে। গুদাম থেকে কালো ধোঁয়া বেরতে দেখে দমকলে খবর দেন পাশের আবাসনের বাসিন্দারা। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের দু’টি ইঞ্জিন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৪:৫৫
Share:

ফের শহরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। এবং ফের সেই অগ্নি নির্বাপন বিধি না মানার অভিযোগ।

Advertisement

শনিবার সকালে ডানলপের সকেটনগরের একটি প্লাস্টিকের গুদামে আগুন লাগে। গুদাম থেকে কালো ধোঁয়া বেরতে দেখে দমকলে খবর দেন পাশের আবাসনের বাসিন্দারা। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। কিন্তু এর পরেই সামনে আসে প্রকৃত সমস্যা। বি টি রোডের দিক থেকে গাড়ি দু’টি গুদামের কাছে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই জল শেষ হয়ে যায় ইঞ্জিন দু’টির। কিন্তু রাস্তা অত্যধিক সরু হওয়ায় আটকে যায় গাড়ি দু’টি। জলের অভাবে ফের ছড়াতে থাকে আগুন। পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝে বিভিন্ন দমকল কেন্দ্র থেকে ২৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিন্তু কাছাকাছি পৌঁছতেই বেগ পেতে হয় তাদের। কয়েকটি ইঞ্জিন বি কে সি কলেজের দিক থেকে ঢোকার চেষ্টা করে। দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই রয়েছে সকেটনগর আবাসন। সেই আবাসনের পাঁচিল ভেঙে দমকলের গাড়ি যাওয়ার রাস্তা করা হয়। আবাসনের বিদ্যুত সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। বের করে আনা হয় সব বাসিন্দাদের। আবাসনের ছাদে উঠেও আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু দুপুর পর্যন্তও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

গুদামে কি আদৌ কোনও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল? এখনও তার কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনাস্থলের কাছেই রয়েছে একটি পেট্রল পাম্প। মাস কয়েক আগে সেই পাম্পের পাশের একটি প্লাইউডের কারখানায় আগুন লাগে। সঠিক অগ্নিনির্বাপন বিধি মানা হয়নি সেখানেও। এর পরেই পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, এলাকায় এই ধরনের গুদাম বা কারখানাগুলি চিহ্নিত করা হবে। সেই কাজ কি আদৌ হয়েছে? পুরপ্রধান অপর্না মৌলিক এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেন, “এই ধরনের গুদামের পাশে কেন বহুতল তৈরি হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হবে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দমকলের ডিজিকে অনুরোধ করছি।”

Advertisement

আরও পড়ুন-বেপরোয়া গাড়িচালককে বাঁচাতে পুলিশের লুকোচুরি

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement