মুক্তির পর তপোব্রত রায়। — নিজস্ব চিত্র।
রেড রোডের কার্নিভাল থেকে আটক চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে মুক্তি দিল কলকাতা পুলিশ। কার্নিভালে ‘প্রতীকী অনশনকারী’ লেখা ব্যাজ পরার অভিযোগে মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে আটক করে ময়দান থানায় নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। পরে রাতে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। তার পরেই ময়দান থানার সামনে হইহই করে ওঠেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। কয়েক জনকে ভারতের পতাকা ওড়াতে দেখা যায়।
মঙ্গলবার বিকেল থেকে রেড রোডে শুরু হয় দুর্গাপুজোর কার্নিভাল। কলকাতার বিখ্যাত পুজোগুলি শামিল হয় সেখানে। সেই কার্নিভালে কলকাতা পুরসভার একটি মেডিক্যাল দলও ছিল। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বা চোট-আঘাত লাগলে প্রাথমিক চিকিৎসা করার কথা ছিল ওই দলের সদস্যদের। সেই দলেই ছিলেন তপোব্রত। তাঁর শার্টে লাগানো ব্যাজে লেখা ছিল ‘প্রতীকী অনশনকারী’। অভিযোগ, সেই কারণে আটক করা হয় তাঁকে। এই প্রসঙ্গে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস বলেন, ‘‘আমরণ অশনকারীদের পাশে থাকতে তপোব্রত প্রতীকী অনশনকারী লেখা ব্যাজ বুকে লাগিয়েছিলেন। তাঁকে আটক করা হয়েছে। এ ভাবে আন্দোলন দমন করা যাবে না।’’
গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় ‘আমরণ অনশন’ করছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের সংহতি জানিয়ে ‘প্রতীকী অনশন’ করছেন চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষ। মঙ্গলবার ওই অনশনকারীদের সংহতি জানিয়ে সারা দেশে ১২ ঘণ্টার অনশন কর্মসূচি পালন করছে আইএমএ (ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন)। কর্মসূচির নেতৃত্বে সংগঠনের জুনিয়র ডাক্তারেরা। এই আবহে আটক চিকিৎসক তপোব্রতের শার্টেও ছিল ‘প্রতীকী অনশনকারী’ লেখা ব্যাজ।
প্রসঙ্গত, রেড রোডে পুজোর যখন কার্নিভাল চলছিল, তখন সেখান থেকে অনতিদূরে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ কর্মসূচি করছিল চিকিৎসকদের আটটি সংগঠন। তাতে যোগ দেন অগুনতি সাধারণ মানুষ। ধর্মতলায় হাতে হাত রেখে ব্যারিকেড করেন সাধারণ মানুষ। এই আবহে আটক করা হয় এক চিকিৎসককে। পরে যদিও তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।