ছবি: সংগৃহীত।
স্বাস্থ্য শিবির করে এলাকার ঘরে ঘরে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছে পুরসভা। কিন্তু তা সত্ত্বেও মশাবাহিত রোগে মৃত্যুর ঘটনা কমছে না বিধাননগরে। ইতিমধ্যেই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আট জনের মৃত্যু হয়েছে ওই পুর এলাকায়। জ্বরে ভুগেছেন তিনশোরও বেশি মানুষ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সে সম্পর্কে সবিস্তার তথ্যও থাকছে না পুরসভার কাছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন খোদ পুর কর্তৃপক্ষও। এ দিকে অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ওই পুরসভার কর্মীদের একটি বড় অংশ ব্যস্ত। তার মধ্যে পুর এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে যে ভাবে জ্বর ছড়িয়ে পড়ছে, তা নিয়ে চিন্তা বেড়েছে পুরসভার। বিশ্বকাপে মশার দাপট ঠেকাতে গিয়ে পুর এলাকার বাকি অংশে পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটবে কি না এ নিয়ে আশঙ্কায় বাসিন্দারা। পুর কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, বিশ্বকাপে ব্যস্ততা থাকলেও মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে খামতি থাকবে না। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় বলেন, ‘‘বিশ্বকাপে ব্যস্ততা রয়েছে। কিন্তু তার জন্য কোনও ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য পরিষেবায় খামতি থাকবে না।’’
বৃহস্পতিবারও ওই পুর এলাকায় কেষ্টপুরের প্রফুল্লকাননে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধার। মৃতার নাম নেলি চৌধুরী (৬৫)। তাঁকে বাইপাসে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরিবারের দাবি, মৃতার ডেঙ্গি হয়েছিল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেথ সার্টিফিকেটেও মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। মৃতার স্বামী মিহির চৌধুরীও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। পড়শিদের দাবি, মিহিরবাবুর বাড়িতে স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষিকা থাকতেন, তিনিও এক মাস আগে ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন। যদিও অভিযোগ, সেই তথ্য নেই পুরসভার কাছে। পুরসভার দাবি, কিছু দিন আগে ওই এলাকায় মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়তে থাকায় পদক্ষেপ করা হয়েছিল। তাতে সমস্যা খানিকটা নিয়ন্ত্রিতও হয়েছিল। তার মাঝে ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে।
এর আগে ৪ নম্বর বরোর বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ে। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। শুক্রবার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য শিবির চালু করে বিধাননগর পুরসভা। সূত্রের খবর, দুই শতাধিক ব্যক্তির চিকিৎসা করা হয়েছে। তার মধ্যে অনেকের রক্তপরীক্ষাও করা হয়েছে। এই নিয়ে মোট ৪টি স্বাস্থ্য শিবির চালু হল। তা সত্ত্বেও কেষ্টপুর খাল এবং ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলের পাড় বরাবর সল্টলেকের বিভিন্ন ব্লকে জ্বর ছড়াচ্ছে বলে স্থানীয়দের একাংশের দাবি।