Fraud Case

৭০ বার সিম পাল্টেও পুলিশের জালে প্রতারক

ধৃতকে রবিবার ট্রানজ়িট রিমান্ডে এনে আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত দেন। এই প্রতারণার ঘটনায় নীলাঞ্জনের স্ত্রীও অভিযুক্ত। তিনি অবশ্য পলাতক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:১০
Share:

ধৃতের নাম নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত। শনিবার দিল্লির মেহেরৌলি থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ। প্রতীকী ছবি।

কখনও গুয়াহাটি, কখনও দিল্লি। গ্রেফতারি এড়াতে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিল অভিযুক্ত। শেষের দিকে কয়েক মাস বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল। কিন্তু মাঝেমধ্যেই বাড়ি বদল করছিল পুলিশকে ফাঁকি দিতে। শুধু তা-ই নয়, গত এক বছরে ৭০ বার মোবাইলের সিম বদল করেছিল সে। ১২ বার বদল করেছিল মোবাইল ফোনও! এত কিছু করেও অবশ্য বাঁচা গেল না। গত শনিবার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে ওই প্রতারক।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত। শনিবার দিল্লির মেহেরৌলি থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ। ধৃতকে রবিবার ট্রানজ়িট রিমান্ডে এনে আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত দেন। এই প্রতারণার ঘটনায় নীলাঞ্জনের স্ত্রীও অভিযুক্ত। তিনি অবশ্য পলাতক। এই ঘটনায় এর আগে রাজদীপ চৌধুরী নামে আর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বর্তমানে রাজদীপ জেল হেফাজতে রয়েছে। তাকে নীলাঞ্জনের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সোমবার রাজদীপকে হেফাজতে নিতে চেয়ে আলিপুর আদালতে আবেদন করেছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ সূত্রের খবর, গত বছরের মার্চে ডানকুনির বাসিন্দা এক ব্যবসায়ী অভিযোগে জানান, তাঁকে ২০ কোটি টাকা ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারকেরা ‘প্রসেসিং ফি’ বাবদ প্রায় ৯৭ লক্ষ টাকা নিয়েছে। কিন্তু তিনি ঋণ পাননি। এক অফিসার জানান, নীলাঞ্জনের বিরুদ্ধে গোটা রাজ্যে আটটি প্রতারণার মামলা রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement