প্রতীকী ছবি।
গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রার পারদ চড়েছে অনেকটাই। এ দিকে, অ্যাপ-ক্যাবে এসি না চলার সমস্যা ফের চাগাড় দিচ্ছে। অভিযোগ, বেশির ভাগ অ্যাপ-ক্যাব চালক এসি চালাতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে যাত্রীদের কষ্ট বাড়ছে। বহু ক্ষেত্রেই এ নিয়ে চালক এবং যাত্রীর মধ্যে সংঘাতের আবহ তৈরি হচ্ছে। সমস্যা এড়াতে অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলির নিয়ন্ত্রণে রাজ্যে জারি হওয়া সরকারি নির্দেশিকা বলবৎ করার দাবি উঠেছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এআইটিইউসি পরিচালিত অ্যাপ-ক্যাব চালক সংগঠনের নেতা নওলকিশোর শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি জানিয়ে তাঁরা পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি দিচ্ছেন। সংগঠনের অভিযোগ, অবিলম্বে অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলি সরকারি নির্দেশ মেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না-করলে যাত্রীদের সঙ্গে সংঘাতের আবহ তীব্রতর হবে। ফলে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। নওলকিশোরবাবুর দাবি, ‘‘ডিজ়েলের মূল্য আরও বাড়তে পারে। এই অবস্থায় আর্থিক ক্ষতির ভয়ে অনেকে এসি বন্ধ রাখছেন। এতে সুষ্ঠু যাত্রী পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। যাত্রী এবং চালকের স্বার্থ বজায় রেখে সমস্যার ঠিক সমাধান প্রয়োজন।’’
‘ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড’-এর সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পরিবহণ দফতরের মধ্যস্থতায় অ্যাপ-ক্যাব সংস্থা এবং চালক সংগঠনগুলিকে নিয়ে বৈঠক জরুরি। না হলে সমস্যা কঠিন আকার নেবে।’’ তিনি আরও জানান, অতীতে তাঁরা সরকারি নির্দেশিকা বলবতের দাবিতে চিঠি দিয়েছেন। সিটুর অ্যাপ-ক্যাব সংগঠনের নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষের আবার মত, ‘‘অ্যাপে এসি এবং নন এসি অপশন থাকা প্রয়োজন। অ্যাপ সংস্থাগুলি সেই দাবি মেনে পদক্ষেপ করেনি। ২৮ মার্চ থেকে সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি শিল্প ধর্মঘট ডেকেছে। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে অ্যাপ-ক্যাবের দাবি নিয়ে ধর্মঘটে যাওয়ার কথা বলছেন ইন্দ্রজিৎবাবু।
যাত্রীদের অভিযোগ, চালকেরা সরাসরি ক্যাব সংস্থার দোহাই দিয়ে এসি বন্ধ রাখছেন। যাত্রীদের ভাড়া গুনতে হলেও তীব্র গরমে কষ্টের সফর সহ্য করতে হচ্ছে। চলতি সপ্তাহেই তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলায় এসি চালানোর দাবি আরও জোরালো হয়েছে। এ দিকে সরকারি নির্দেশিকা জারি হলেও, ক্যাব সংস্থাগুলি এখনও কোনও প্রতিক্রিয়াই দেয়নি।