ললিত ঝার বাড়িতে দিল্লি পুলিশ। — ফাইল চিত্র।
দিল্লির সংসদ হানার মূলচক্রীর আস্তানার খোঁজে কলকাতার অলিতে-গলিতে ঘুরছে দিল্লি পুলিশ। সোমবারই তদন্তকারীরা পৌঁছেছিলেন রবীন্দ্র সরণীতে, ললিতের টিউশন পড়ানোর ঠিকানায়। মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশের একটি দল এসে হাজির হল ইকো পার্ক থানায়। পরে ডালহৌসির বিএসএনএল অফিসেও গেল তদন্তকারীদের দলটি।
কলকাতার বাগুইআটিতে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন ললিত। সেই তথ্য ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে তদন্তে। মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশ গিয়েছিল ললিতের সেই ভাড়া বাড়িতেই । তবে যে হেতু এলাকাটি ইকো পার্ক থানার অধীনে, তাই আগে স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তদন্তকারীরা। তার পর যান বাগুইআটিতে ললিতের ঠিকানায়।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বাগুইআটিতে ললিতের প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। তাঁরা দিল্লি পুলিশকে জানিয়েছেন, সংসদের ঘটনার দিন তিনেক আগেও এই ঘরে থেকেছেন ললিত। গত ১০ ডিসেম্বরও তাঁকে এই বাড়িতে দেখেছেন তাঁরা। ১০ তারিখ অর্থাৎ সংসদে ‘রংবাজি’র ঘটনার তিন দিন আগে ঘর বন্ধ করে চলে যান ললিত। তবে তাতে কারও কিছু মনে হয়নি। কারণ, অনেকেই ভেবেছিলেন ললিত হয়তো তাঁর দেশের বাড়ি গিয়েছেন। মঙ্গলবার বাগুইআটিতে এসে ললিতের বাড়ির মালিকের সঙ্গেও কথা বলেছে দিল্লি পুলিশের তদন্তকারী দল।
মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশের ওই দলটি অবশ্য ললিতের বাগুইআটির আস্তানায় তালা ঝোলানো অবস্থাতেই দেখেছেন। যেমন সোমবারও তাঁরা দেখেছিলেন ২১৮ রবীন্দ্র সরণীর ঠিকানায়। যেখানে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে টিউশন পড়াতেন ললিত। রবীন্দ্র সরণীর স্থানীয় বাসিন্দাদের ললিতের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে, তাঁরা দিল্লি পুলিশকে জানিয়েছিলেন, বহু দিন ধরেই এই এলাকায় আসেননি ললিত। ওই ঘর তালা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরেই। তবে বন্ধ তালা খুলিয়ে ভিতরে প্রবেশের কোনও চেষ্টা করেননি তদন্তকারীরা। দুপুরেই বাগুইআটি থেকে বেরিয়ে আসে দলটি। এর পর বিকেলে তারা পৌঁছয় মধ্য কলকাতার ডালহৌসি চত্বরে। সেখানে বিএসএনএলের অফিসে গিয়েছে দিল্লি পুলিশের দলটি।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সংসদে রংবোমা বিস্ফোরণের এবং স্লোগান দেওয়ার ঘটনার নেপথ্যে মূল মাথা ললিতেরই বলে মনে করছে দিল্লি পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ললিত নিজেই এসে ধরা দেন পুলিশের কাছে।