ফাইল চিত্র
২০২১-’২২ অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসের জন্য প্রায় ৮৫ কোটি টাকার অন্তর্বর্তী ঘাটতি বাজেট পেশ হল কলকাতা পুরসভায়। বুধবার পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলী ওই বাজেট প্রস্তাব গ্রহণ করে। কোভিড ও আমপানের কারণে পুর কোষাগারের অবস্থা এমনিতেই সঙ্গিন। পুরসভা কী ভাবে এই সঙ্কটের মোকাবিলা করবে, এই অন্তর্বর্তী বাজেটে তার কোনও দিশা নেই বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘জরিমানা ও সুদে একশো শতাংশ ছাড় দিয়ে ওয়েভার স্কিমে সম্পত্তিকর আদায় করা হচ্ছে। ওই স্কিমে আশানুরূপ কর আদায় হলে পুরসভার ঘাটতি অনেকটাই কমবে।’’ এ দিনের বাজেটে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ২০৬৩ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা । আর ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২১৪৯ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা। পুর ভবনে বাজেট পেশ করে ফিরহাদ বলেন, ‘‘আগামী ছ’মাসের জন্য সব রকম পুর করের হার অপরিবর্তিত থাকবে। বাজেটে সম্পত্তিকর বাবদ ৬০৮ কোটি, ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ১১০ কোটি, নির্মাণের নকশার অনুমতি বাবদ ৬৩ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। অন্য দিকে, জল সরবরাহের জন্য ২০৪ কোটি ৬ লক্ষ, নিকাশির জন্য ১৪০ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। এ দিন ফিরহাদ আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘‘কোভিডের জন্য নতুন পুর বোর্ডের গঠন থমকে রয়েছে। এখন কোভিডের প্রকোপ অনেকটাই কমেছে। নতুন বোর্ড গঠিত হলে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হবে।’’
পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী রত্না রায় মজুমদারের অভিযোগ, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে পুর বোর্ড গঠিত হয়নি। প্রশাসকমণ্ডলীর তত্ত্বাবধানে পুরসভা দিশাহীন ভাবে চলছে। অন্তর্বর্তী বাজেটেও নতুন কোনও দিশা নেই। আমাদেরও এ দিনের বাজেটে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’’