একটি অনুষ্ঠানে দেবশ্রী রায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
এক সময় তিনিই ছিলেন শোভনের ‘প্রিয়বন্ধু’। এতটাই যে একদা ভরা প্রশাসনিক সভায় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী রসিকতা করে বলেছিলেন, ‘‘ও তো আমায় কিছু বলেই না। সব কথা কাননকেই বলে।’’ সে দিন গিয়েছে। বৈশাখী-পর্বে দৃশ্যত দূরে চলে গিয়েছেন দেবশ্রী রায়। শোভন চট্টোপাধ্যায় রাজ্য মন্ত্রিসভার পাশাপাশি মেয়র পদ থেকেও ইস্তফা দেওয়ার পর দেবশ্রী কেবল একটিই কথা বললেন, ‘‘অনেকটা ক্ষতি হয়ে গেল।’’
বৃহস্পতিবার বিধানসভার অলিন্দে দাঁড়িয়ে দেবশ্রী জানান, বহুদিন তাঁর সঙ্গে কোনও কথা হয়নি শোভনবাবুর।
‘দূরত্ব’ তৈরি হচ্ছিল অনেক দিন ধরেই। এক সময় দেবশ্রীর রায়দিঘি বিধানসভার যাবতীয় কাজকর্ম দেখতেন শোভনবাবুই। পরিচিত মহলের দাবি, দু’জনের মধ্যে এক ‘সহজ’ বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। যা নিয়ে প্রকাশ্যে হাসিঠাট্টাও হত। যাতে কখনও কখনও যোগ দিতেন শোভনপত্নী রত্নাও। বিষয়টি উপভোগ করতেন দুই ‘বন্ধু’ও। কিন্তু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় দৃশ্যমান হওয়ার পর থেকে দৃশ্যত শোভন-দেবশ্রী দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে। এতটাই যে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এসে দেবশ্রী নাকি অভিযোগ করেছিলেন, শোভনবাবু আর কাজ দেখছেন না। এ দিন অবশ্য সে সব কথায় আর ঢোকেননি দেবশ্রী। এক বাক্যেই প্রতিক্রিয়া শেষ করেছেন।