হাসপাতালে রক্ষীর মৃত্যু এখনও রহস্যই

গত ২৫ ডিসেম্বর ওই হাসপাতালে লিফটের বেসমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় নিরাপত্তারক্ষী নারায়ণ কুণ্ডুর (৫১) ক্ষতবিক্ষত দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, সমস্ত সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:২৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

সল্টলেকের একটি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতাল থেকে সেখানকারই এক নিরাপত্তারক্ষীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য ভেদ হল না ৪৮ ঘণ্টা পরেও। তবে ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট দেখে এটি খুনের ঘটনা নয় বলেই মনে করছে পুলিশ। তাদের ধারণা, লিফটের সুড়ঙ্গে পড়ে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই প্রৌঢ়ের। তবে তিনি নিজে পড়ে গিয়েছেন, না কি অন্য কোনও ঘটনা ঘটেছে, সেই রহস্য এখনও ভেদ হয়নি।

Advertisement

গত ২৫ ডিসেম্বর ওই হাসপাতালে লিফটের বেসমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় নিরাপত্তারক্ষী নারায়ণ কুণ্ডুর (৫১) ক্ষতবিক্ষত দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, সমস্ত সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কয়েকটি সূত্রও মিলেছে। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে এবং বিভিন্ন লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত ২১ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত নারায়ণবাবুকে হাসপাতালে দেখা গিয়েছে। তার পর থেকেই ওই প্রৌঢ়ের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। যে কারণে পুলিশে একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছিল।নারায়ণবাবু এর আগে নিউ টাউনের ইকো পার্কে কাজ করতেন। কয়েক মাস আগে সল্টলেকের ওই বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালে যোগ দেন। পুলিশ জানিয়েছে, সমস্ত সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু খুনের পক্ষে জোরালো বা নির্ভরযোগ্য কোনও তথ্যপ্রমাণ হাতে আসেনি।

প্রশ্ন উঠেছে, লিফটের তলায় কী ভাবে পড়ে গেলেন ওই নিরাপত্তারক্ষী? কেউ কি তাঁকে ধাক্কা মেরেছিল? এক পুলিশকর্তা জানান, মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আরও বিভিন্ন দিক নিয়ে ভাবা হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement