এই ট্যাক্সি দু’টির মাঝখান থেকেই উদ্ধার হয় তরুণীর দেহ। নিজস্ব চিত্র
দু’টি হলুদ ট্যাক্সির মাঝে পড়ে রয়েছেন এক তরুণী। সোমবার ভোরে এমন দৃশ্য দেখে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন প্রাতর্ভ্রমণকারীরা। পরে পুলিশ দেহ উদ্ধার করলেও, রাত পর্যন্ত ওই তরুণীর পরিচয় জানা যায়নি। এই ঘটনাটি ঘটেছে বরাহনগর এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বরাহনগর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের নবীনচন্দ্র দাস রোডের মজুমদার বাড়ির কাছেই একটি খোলা গ্যারাজ রয়েছে। এই পরিবারের গাড়ির ব্যবসা। প্রতি দিন রাতে ওই গ্যারাজেই দু’টি ট্যাক্সি রাখা থাকে। সেই মতো রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ দু’টি ট্যাক্সি গ্যারাজে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে কোন তরুণীকে ঘোরাফেরা করতে বা পড়ে থাকতে দেখা যায়নি বলেই দাবি করেছেন ওই বাড়ির বড় ছেলে সুদীপ মজুমদার। তিনি জানান, এ দিন প্রাতর্ভ্রমণকারীদের চিৎকার চেঁচামেচিতেই তিনি বারান্দায় বেরিয়ে এসে দেখেন দু’টি ট্যাক্সির মাঝে ওই তরুণীর দেহ চিৎ হয়ে পড়ে আছে।
পুলিশ জানায়, ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ প্রাতর্ভ্রমণকারীরাই আনুমানিক বছর ৩৫-এর ওই তরুণীর দেহ প্রথম দেখতে পান। ওই তরুণী নীল রঙের রাতপোশাক পরে ছিলেন। নেলপলিশ লাগানো, চুল খোলা অবস্থায় ছিল। নাক-মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল বলে প্রাতর্ভ্রমণকারীরা জানিয়েছেন। খবর পেয়ে বরাহনগর থানার পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠায়। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের দাবি, ওই মহিলার শরীরে কোথাও কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই।
স্থানীয় কাউন্সিলর অঞ্জন পাল বলেন, ‘‘ওই মহিলাকে কখনও কেউ এই এলাকায় দেখেছেন বলে জানা যায়নি। মনে হচ্ছে বহিরাগত।’’