শ্রাবণীর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে আগে। তারপর তাঁরা দমদমের ভাড়া বাড়িতে চলে আসেন। আপতদৃষ্টিতে শ্রাবণী এবং সন্দীপের ব্যবহার ভাল ছিলই বলে জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। তবে বিভিন্ন সময়ে আত্মীয় এবং পরিচিতদের কাছ থেকে সন্দীপ টাকা ধার নিয়েছিলেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে।
প্রতীকী ছবি।
দমদমের নবপল্লিতে উদ্ধার মা ও ছেলের মৃতদেহ। শ্রাবণী পাল এবং তাঁর ছেলে সন্দীপ পালের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে দমদম থানার পুলিশ। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, একাধিক জায়গা থেকে ধারদেনা করেছিলেন এই পরিবার। দেনার দায়েই চরম পথ বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত কিনা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমদম থানার পুলিশ, দেহ উদ্ধারের সময় শ্রাবণীর ভাই উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আদতে হাওড়ার বাসিন্দা শ্রাবণীরা। দমদমের ওই বাড়িতে কয়েক মাস যাবৎ ভাড়া রয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
যে অবস্থায় দেহগুলি উদ্ধার হয়েছে তাতে পুলিশের ধারণা বেশ কয়েক দিন আগেই মা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক সময় এবং কারণ জানা যাবে বলে জানান তদন্তকারী পুলিশ। শ্রাবণীর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে আগে। তারপর তাঁরা দমদমের ভাড়া বাড়িতে চলে আসেন। আপতদৃষ্টিতে শ্রাবণী এবং সন্দীপের ব্যবহার ভাল ছিলই বলে জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। তবে বিভিন্ন সময়ে আত্মীয় এবং পরিচিতদের কাছ থেকে সন্দীপ টাকা ধার নিয়েছিলেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে। সন্দীপ সে রকম কিছু করেন না বলেই প্রাথমিক ভাবা জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।