এক ব্যবসায়ীর গলা কাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে।
শনিবার সোনারপুর থানার ধামাইতলার একটি কলাবাগান থেকে কমল বৈদ্য (৩৩) নামে ওই ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর বাড়ি সোনারপুর থানার জগদাবাদ এলাকায়। পুলিশ জানায়, শুক্রবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার কমলের দেহ উদ্ধারের পরে তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা বৈদ্য সোনারপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। সুমিত্রাদেবী জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার পরে কমল বাড়ি থেকে বেরোন। রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফিরলে সাড়ে ১০টা নাগাদ কয়েক বার ফোন করা হয় তাঁকে। তিনি ফোন ধরেননি। পরে এক বার ফোন ধরে জানান, তিনি রাজপুরে রয়েছেন। ফিরতে দেরি হবে। এর পরে তাঁর মোবাইলটি বন্ধ হয়ে যায়। তাঁর স্ত্রী বলেন, ‘‘রাতে সব পরিচিতদের কাছে খোঁজ নিয়েছিলাম, কিন্তু কেউ খবর পাননি। পরে লিটন নামে স্বামীর এক বন্ধুকে ফোন করা হয়। লিটন জানান, মিঠুন নামে এক জনের সঙ্গে কোথাও যাওয়ার কথা ছিল ওঁর। মিঠুনের সঙ্গে যোগাযাগের চেষ্টা করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। সকালে এক পরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে খবর পাই, কমলের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে।’’
মৃতের পরিজনেদের বক্তব্য, মিঠুন মাঝেমধ্যে কমলের বাড়িতে আসতেন। সুমিত্রার সঙ্গেও তাঁর বন্ধুত্ব রয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, লিটনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সম্প্রতি মিঠুনের সঙ্গে কমলের বচসা হয়েছিল বলে তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। কমল ফিনাইল-সহ নানা জিনিসের ব্যবসা করতেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজারে কিছু দেনাও হয়ে গিয়েছিল তাঁর। তদন্তকারীরা জানান, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।